সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে পরাক্রম দিবস বিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় সরকারের এক উর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তাভাবনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ এটি আমাদের ইতিবাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
এখন থেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান (Republic Day Celebration) পালন করা হবে ২৩ জানিয়ারি (23 January) জানুয়ারি থেকে। এই দিনটি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Basu) জন্ম বার্ষিকী হিসেবে পালন করা হয়। এতদিন সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। এবার থেকে তা আরও একদিন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তেমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র।
কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে পরাক্রম দিবস বিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় সরকারের এক উর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তাভাবনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ এটি আমাদের ইতিবাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
এরকম আরও কিছু দিন যা একটি বাৎসরিকভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল-
১৪ অগাস্ট - দেশভাগের ভয়াবহ স্মৃতি দিবস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় এই দিনটি কোনও দিনই দেশের মানুষ ভুলতে পারবেবব না। হিংসা আর সাম্প্রদায়িক অসম্প্রীতির কারণে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বহু মানুষকে ভিটেমাটি হারিয়ে অজানা ভবিষ্যতের পথে হাঁটতে হয়েছিল।
৩১ অক্টোবর - একতা দিবস-জাতীয় ঐক্য দিবস (সর্দার প্যাটেলের জন্ম বার্ষিকীকে সামনে রেখে এই দিনটি উদযাপন করা হবে।) মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সর্দার প্যাটেলের জন্মদিন বিশেষ ভাবে পালন করে থাকে।
১৫ নভেম্বর- জনজাতি গৌরব দিবস (বিসরা মুণ্ডার জন্মদিন পালন করা হবে)। নরেন্দ্র মোদী বিরসা মুণ্ডাকে আধিবাসীদের গৌরব হিসেবে অভিহিত করেছে। এই দিনটিকে জনজাতি বা উপজাতির মানুষদের সংস্কৃতি, গৌরব, ইতিহাস তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হবে। বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন একসপ্তাহ ধরে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।
২৬ নভেম্বর- সংবিধান দিবস। ২০১৫ সাল থেকেই সংবিধান দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই দিনটি জাতীয় আইন দিবস হিসেবে পরিচিত।
২৬ ডিসেম্বর- বীরবল দিবস (৪ সাহিবজাদার প্রতি শ্রদ্ধা জানান হবে) সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এই দিনটি বীরবল দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছেন।