সংক্ষিপ্ত
জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা ডয়সিংহ আদালতে বলেন, এটা সাধারণ খুন ও ধর্ষণের ঘটনা হিসেবে দেখলে ভুল হবে। আমাদের কাছে চার জনের নাম রয়েছে। দুজনের নাম আমরা সিবিআইকে দিয়েছি।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনাতেও উঠল প্রভাবশালী তত্ত্ব। যা শুনে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-এর থেকে নামের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছে। পাল্টা রাজ্য সরকার বলেছে, যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তালিকা পেলে রাজ্য সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।
এদিন আদালতে শুনানির সময় জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা ডয়সিংহ আদালতে বলেন, 'এটা সাধারণ খুন ও ধর্ষণের ঘটনা হিসেবে দেখলে ভুল হবে। আমাদের কাছে চার জনের নাম রয়েছে। দুজনের নাম আমরা সিবিআইকে দিয়েছি। ওই চার জন ক্রাইমসিনে ছিলেন।' তিনি আরও বলেন, তদন্তের আওয়ায় আসা হাসপাতালের সাত জনকে আপাতত সাসপেন্ড করারও দাবি জানিয়েছেন। ইন্দিরা বলেন, তারা এখন হাসপাতালে কাজ করছেন। তারাও প্রভাবশালী। তাই তারা ব্যক্তিগত প্রভাব খাটাতে পারেন। একই আর্জি জানান জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর আইনজীবী করুণা নন্দীও। তিনি বলেন, 'যেহেতু দুর্নীতির তদন্ত কর করছে সিবিআই, তাই তদন্তের স্বার্থে কয়েকজনকে প্রভাবশআলীকে সাসপেন্ড করা হোক।'
এই কথা শোনার পরই সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-এর থেকে তদন্তের অধীনে যারা যারা রয়েছে তাদের নামের তালিকা চেয়েছে। রাজ্যে আইনজীবীও জানিয়েছেন, পাঁচ জনকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। কোনও পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তারও নামের তালিকা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী আশ্বস্ত করে বলেছেন, তদন্তকারী সংস্থা নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, কেউ যতই প্রভাবশালী হোক সিবিআই তাদের নামের তালিকা দিবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে রাজ্যের কোনও সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি নির্দেশ, তদন্তের আওতাধীন রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের নাম সিবিআই রাজ্যকে দিলে পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্যকে আইন মেনে পদক্ষেপ করতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।