সংক্ষিপ্ত

  • সামনেই অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করবে আরএসএস
  • রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ মনে করছে রায় মন্দিরের পক্ষেই যাবে
  • রায় ঘোষণার পর শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরএসএস
  • তার জন্য কী করতে হবে আর কী করা যাবে না তাও ঠিক করা হয়েছে

আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ৮০ কোটি হিন্দুদের মতো রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ-ও ধরেই আশা করছে এইবার রামমন্দির নির্মাণের সুযোগ আসবেই। আর তা হলে কী করতে হবে, কী করা উচিত নয়, তাই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল আরএসএস।

মূলতঃ, সুপ্রিম কোর্টের রায় বের হওয়ার পরের কর্মসূচি নিয়েই বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিন ধরে আরএসএস-এর রুদ্ধদ্বার বৈঠক বসেছিল নয়াদিল্লির ছাতারপুরের আধ্যাত্ম সাধনা কেন্দ্রে। সেখানে ঠিক হয়েছে, রায় যাই হোক, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতেই হবে। অপর সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের ভাবাবেগে আঘাত করা চলবে না।

কারা কারা ছিলেন বৈঠকে?

দুদিনের এই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আরএসএস কার্যকর্তা সুরেশ ভাইয়াজি জোশী, দত্তাত্রেয় হোসাবালে, মনমোহন বৈদ্য, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষে বিচারপতি ভিএস কোকজে, অলোক কুমার, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও কার্যকরি সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রমুখ।

 

কী কী করতে হবে?

মন কি বাত-এর সর্বশেষ পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টের অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার সময় সব দল মিলে যেভাবে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষা করেছিল, সেই কথা স্মরণ করেছিলেন। সেইদিনই স্পষ্ট হয়ে গিযেছিল বিজেপি-আরএসএস-এর মনোবাব। তার সঙ্গেই সাজুয্য রেখে আরএসএস মনে করছে রায় ঘোষণার পর অতি অনেকেই অতি আনন্দে ভারসাম্য হারাতে পারেন। কিন্তু আরএসএস পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কখনই যাতে সেই আনন্দ মাত্রা না চাড়ায় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে সবাইকে। অপর সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে মিছিল বার করার মতো আগ্রাসী আচরণ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। আরএসএস-এর কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা সংযোগ স্থাপন করে সারা দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখায় ভূমিকা নেবেন।

কী কী করা উচিত নয়?

যদি মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় আসে, তাহলে কীভাবে আনন্দ করবেন হিন্দুরা? আরএসএস-এর পরামর্শ ধর্মীয় আচরণের মধ্য দিয়েই মনের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে হবে। বাড়িতে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালা যেতে পারে। বিভিন্ন মন্দির ও অন্যান্য ধর্মস্থলে গিয়ে পুজো দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, সব কিছুর মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে, অপর সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত একেবারেই করা যাবে না।

এছাড়া কী আলোচনা হল?

অযোধ্যা মামলা ছাড়াও আরএসএস-এর এই দুইদিনের বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি, নাগরিকত্ব বিল-এর মতো বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিজেপি নেতারা আরএসএস শীর্ষ নেতৃত্বকে কাশ্মীর নিয়ে রিপোর্ট করেছেন।