সংক্ষিপ্ত
বদ্রীনাথ মন্দিরে ইদের দিন নমাজ পড়েছেন মুসলিমরা। চামোলি পুলিশ পরিষ্কার জানিয়ে দিল এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি।
হিন্দুদের পবিত্র ধর্মস্থান বদ্রীনাথ মন্দিরে ইদের দিন নমাজ পড়েছেন মুসলিমরা। এমন বিস্ফোরক অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। তবে তদন্ত শেষে রহস্য ভাঙল চামোলি পুলিশ। পরিষ্কার জানিয়ে দিল এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। বকরি ইদের দিন কোনও নমাজই পাঠ করা হয়নি বদ্রীনাথ মন্দিরে।
চামোলি পুলিশ এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যে। এই ধরণের তথ্য গুজবের ভিত্তিতে রটে যায়। চামোলির পুলিশ সুপার যশবন্ত সিং চৌহান জানান, এই ধরণের উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য যেন কোনও সাধারণ মানুষ কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় না ছড়ায়। তথ্য যাচাই না করে কোনও খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা উচিত নয়।
উল্লেখ্য বকরি ইদের দিন বদ্রীনাথ মন্দিরে নমাজ পড়েছে বেশ কয়েকজন মুসলিম, এমরকম একটি খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় সত্যি ঘটনা। আস্থাপথ নামের একটি সংস্থা বদ্রীনাথ মন্দিরের পার্কিং লটে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিল। সেই শ্রমিকদের মধ্যে জনা কয়েক ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত। তাঁরা একটি ঘরে দরজা বন্ধ করে নমাজ পড়েন। সেখানে কোনও লাউড স্পীকার ছিল না, এমনকী সেই নমাজ পাঠ করানোর জন্য কোনও মৌলভীও উপস্থিত ছিলেন না।
প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তি নমাজ পাঠ করার সময়ে করোনা বিধি মেনেই নমাজ পড়েন। চামোলি পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে আর্জি জানানো হয়েছে যাতে কোনও ভাবেই উস্কানিমূলক ও অসত্য খবর প্রকাশ না করা হয়। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে সেই ভুয়ো খবরের ভিত্তিতে।