সংক্ষিপ্ত
অঙ্কিত যাদব, সম্প্রতি যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেছেলিন। তিনি সংবাদ সংস্থা এনআইকে জানিয়েছেন, কিয়েভে আটকে পড়া ছাত্রীকে পাকিস্তানের কনস্যুলেটে যেতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি ব্যাঙ্কারে পাকিস্তানের সেই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল।
রাশিয়ার হামলার বিধ্বস্ত ইউক্রেন (Russia-Ukraine war)। ইউক্রেন (Ukraine) ছাড়তে মরিয়া দেশি ও বিদেশি নাগরিকরা। সেই চরম মুহূর্তেও মানবিকতার পরিচয় দিল এক ভারতীয় তরুণ (Indian Student)। প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের এক ছাত্রীকে (Pakistani Student) কিয়েভ (Kyiv) থেকে রোমানিয়া সীমান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। রোমানিয়া থেকেই সেই ছাত্রীকে পাকিস্তান উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অঙ্কিত যাদব, সম্প্রতি যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেছেলিন। তিনি সংবাদ সংস্থা এনআইকে জানিয়েছেন, কিয়েভে আটকে পড়া ছাত্রীকে পাকিস্তানের কনস্যুলেটে যেতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি ব্যাঙ্কারে পাকিস্তানের সেই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। রাশিয়ার হামলার কারণে ইউক্রেনের প্রচুর মানুষ বর্তমানে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন সেই ব্যাঙ্কারে তিনি একমাত্র ভারতীয় ছিলেন। আর মহিলা ছিলেন একমাত্র পাকিস্তানি। সেই সময়ই তাদের আলাপ হয়েছিল। ভাষার কারণে তাঁরা অন্য কারও সঙ্গে তেমনভাবে কথা বলেননি। আতঙ্ক আর উত্তেজনা কাটাতে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছিলেন। সেই সময়ই তাঁরা শহর ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি কিয়েভ ছেড়ে বেরিয়া আসার চেষ্টা করেন। প্রথমে তারা ব্যর্থ হন। পরে আবারও চেষ্টা করেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি তারা বাঙ্গার ছেড়ে বেরিয়ে পড়ার অনুমতি পেয়েছিলেন। তারপর সেইসময় তাঁরা কার্ফুর মধ্যে দিয়ে হোস্টেলে যান। সেখানে ইউক্রেনের কয়েকজন পড়ুয়া ছিল। তারা তাদের খাবার দিয়েছিল। রাতে তারা হোস্টেলেই থেকে গিয়েছিলেন। পরের দিন সকালে কার্ফু শিথিল হতেই তারা কিয়েভ থেকে চম্পট দেন। ট্রেনে করে কিছু দূর যান। তাঁর সঙ্গে থাকা ছাত্রীর জন্য পাকিস্তানের কনস্যুলেটের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। তারপর একটি ভিড় ট্রেনে ওঠেন। সেখানে কয়েকজন ভারতীয় পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়। কিন্তু ট্রেনে প্রবল ভিড় থাকায় বসার জায়গা পাননি। কিন্তু তিনি পাকিস্তানের ছাত্রীকে রোমানিয়া সীমান্তে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে পাক সরকার ছাত্রীর দায়িত্ব নিয়ে নেয়।
অঙ্কিত দেব আরও জানিয়েছেন রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত কিয়েভে। রুশ সেনা ক্রমাহত গোলা ও বোমা বর্ষণ করেছেন। রাজধানী শহরের অধিকাংশ মানুষই বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে। খাবার ও জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
উক্রেনের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নতুন অ্যাডভাইরাসি জারি করেছে শুধুমাত্র সুমির আটকে পড়া পড়ুয়াদের জন্য। অল্প সময়ের নোটিশেই তারা যাতে হোস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে পারে তার জন্য তৈরি থাকতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুমিতে প্রায় ৮০০ পড়ুয়া রয়েছে বলেও জানান হয়েছে। খুবই দ্রুত তাদের উদ্ধার করা হবে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।