সংক্ষিপ্ত

৩০-এর কোঠার রুশ মহিলার সঙ্গে ২০-র কোঠার ভারতীয়ের প্রেম

বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ছেলেটির শহরে

তাই ট্রাকে লুকিয়ে পারি দিয়েছিলেন লকডাউনের মধ্যেই

কিন্তু, পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেলেন তাঁরা

 

লকডাউউনে গোটা ভারত থেকেই অদ্ভূত অদ্ভূত খবর আসছে। বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের পুলিশ-ও এমনই এক অদ্ভূত ঘটনার কথা জানিয়েছে। বুধবার করোনাভাইরাস লকডাউন এবং কারফিউ চলাকালীন একটি ট্রাকে করে লুকিয়ে সিমলা জেলায় ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন একজন রুশ মহিলা এবং তার ভারতীয় প্রেমিক।

সিমলার পুলিশ সুপার ওমপতি জামওয়াল জানিয়েছেন, ওই রুশ মহিলার প্রেমিকের আসল বাড়ি কুলু-র নির্মন্ড এলাকায়, তবে কর্মসূত্রে থাকেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডায়। বুধবার সিমলা জেলায় প্রবেশ করার সময় শোগি চেকপয়েন্টে তাঁরা ধরা পড়ে যান। কোনও কার্ফিউ পাস ছাড়াই একটি ট্রাকের পেছনে লুকিয়ে নয়াডা থেকে তারা পারি দিয়েছিল। নির্মন্ড পৌঁছে তাদের বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন ওই রুশ মহিলা ও তাঁর ভারতীয় প্রেমিক।

এই প্রেম কাহিনীতে যে শুধু দেশ বা ভাষার পার্থক্য আছে তাই নয়, এই প্রেমিক ও প্রেমিকা অসমবয়সীও বটে। পুলিশ জানিয়েছে, রুশ মহিলার বয়স ত্রিশের কোঠায়। আর কুলুর বাসিন্দা ওই যুবকের বয়স কুড়ির কোঠায়। শুধু তাদেরই নয়, অবৈধভাবে লকডাউনের মধ্যে তাদের এতটা রাস্তা আনার জন্য ওই ট্রাকের চালক ও ক্লিনার-কেও ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারার এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে করোনা-দুনিয়ায় তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সতর্কতা। পুলিশ জানিয়েছেন, ধাল্লির একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে ওই রুশ মহিলাকে। আর বাকি তিনজন ধৃতকে শোগিতেই একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।