সংক্ষিপ্ত
ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা এস জয়শঙ্কর ও চিনা বিদেশ মন্ত্রীর মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
G-20 বৈঠকের ব্যস্ত সূচির মধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনা করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা মূলত G-20 বৈঠকের ফাঁকেই হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়শঙ্কর টুইট করে জানান 'আজ বিকেলে G-20 বৈঠকের ফাঁকে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রশান্তির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়েও কথা হয়েছে।' তাঁর কথা চিনা মন্ত্রীর সঙ্গে কথাবর্তা রীতিমত সদার্থক।
ডিসেম্বের চিনের বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন কিন। তারপর এটাই জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠক। G-20 বৈঠকে ভারত - চিন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক হল প্রায় ৮ মাস পরে। বর্তমানে লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশ সীমান্ত চিনা সেনার আগ্রাসনের কারণে দুই দেশের মধ্যে কিছুটা হলেও অস্থিরতা রয়েছে। এর আগে ৭ জুলাই তৎকালীন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং-এর সঙ্গে শেষবারের মত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন জয়শঙ্কর। সেই সময় পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার বিষয়ে কথা বলেথিবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংকে জয়শঙ্কর বলেছিলেন দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখার জন্য তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণঃ পারস্পরিক শ্রদ্ধা. পারস্পরিক সংবেদশীলতা ও পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রাখার। ওয়াং গত বছর মার্চ মাসে ভারত সফর করেছিলেন। ২২ ফেব্রুয়ারি চিন ও ভারতের কূটনীতিকরা বেজিং-এর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। পূর্ব লাদাখে এলএসি বরাবর অবশিষ্ট স্ট্র্যান্ড অফ এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ভারত চিন বর্ডার অ্যাফেয়ার্স পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজমের অধীনে সেই বৈঠক হয়েছিল।
২০২০ সাল থেকেই ভারত ও চিন সীমান্ত অস্থিরতা দেখা গেছে। চিনা সেনার লাদাখ ও অরুণাচপ্রদেশ সীমান্ত এলাকায় আগ্রাসনের কারণে গালওয়ানের সংঘর্ষও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশই একাধিক বৈঠক করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র অধরাই রয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ
Manik Saha: স্বপ্নের উত্থান মানিক সাহার, মাত্র ১০ মাসে ত্রিপুরা বিজেপির পটপরিবর্তন করেন তিনি
Meghalaya NPP: কোন পথে মেঘালয়ের রাজনীতি? চূড়ান্ত ফলের জন্য অপেক্ষা এনপিপি-র