সংক্ষিপ্ত
মেঘালয় বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হওয়ার ইঙ্গিত। এখনও পর্যন্ত ম্যাজিক ফিগার থেকে দূরে রয়েছে এনপিপি। চূড়ান্ত ফল দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বল জানিয়েছেন কনরাড সাংমা।
কোন পথে মেঘালয়ের রাজনীতি তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভোট গণনার যা ট্রেন্ড তাতে মেঘালয় বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হতে পারে। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ৩১টি আসনের প্রয়োজন রয়েছে। এই অবস্থায় সংস্থাগরিষ্ঠতার থেকে অল্পদূরে রয়েছে শাসক দল এনপিপি। তবে আগের জোটসঙ্গি বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়াই করেনি এনপিপি। দুটি দলই একক নির্বাচনে লড়াই করেছিল। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কনরাড সাংমা ফল প্রকাশের আগে জানিয়ে দিয়েছেন চূড়ান্ত ফলাফল দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, তাঁর দলের সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য এখনও আরও কয়েকটি আসনের প্রয়োজন রয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে চূড়ান্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। রাজ্যের মানুষ তাঁদের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মানুষকে। বলেছেন 'আমাদের ভোট দেওয়ার আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারিনি। চুড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।'
দক্ষিণ তুরা আসন থেকে প্রায় তিন হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন কনরাড সাংমা। মেঘালয়ে ২৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনপিপি। ইউডিপি এগিয়ে কয়েছে ১১টি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যে প্রথম নির্বাচনে খাতা খুলেছে। এগিয়ে রয়েছে ৫টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৫টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৩টি আসনে।
বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই বলা হয়েছে মেঘালয় বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হতে পারে। তারপর থেকে কনরাজ সাংমা জানিয়ে ছিলেন তিনি নির্বাচন পরবর্তী জোটের কথা ভাবছেন। তবে কোন দলের সঙ্গে হাত মেলাবেন তা এখনও স্পষ্ট করেননি। এই অবস্থায় বুধবার মধ্যরাতে সাংমা অসনের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে গুয়াহাটিতে একটি বৈঠক করেছিলেন। মধ্যরাতের বৈঠক নিয়ে দুই পক্ষ এখনও কিছুই জানায়নি।
সূত্রের খবর অসনের রাজধানী গুয়াহাটির একটি হোটেলে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয়। গোপন রাখা হয়েছে বৈঠকের কথা। সূত্রের খবর নির্বাচন পরবর্তী জোট সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পরই বৃহস্পতিবার ভোররাতেই কনরাড সাংমা নিজের রাজ্য মেঘালয়ে চলে গেছেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন তুরাতে।
মেঘালয়ে বিজেপিকে জায়গা করে দিতে ২০১৬ সালে একটি বড় ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন কনরাড সাংমা। সেই সময় তিনি কংগ্রেসকে হারিয়ে সরকার গঠন করার জন্য বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনি একজন প্রথম সারির রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত। তবে একাধিক এক্সিট পোল যখন জানিয়ে দিয়েছিল মেঘালয়ে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, তখন সাংমা অবশ্য জোট করে সরকার গঠনের কথা বলেছিলেন।
বিজেপি ও এনপিপি জোট নিয়ে কোনও কথা বলেনি। সূত্রের খবর সাংমা গতরাতে গুয়াহাটির একটি বড় হোলেটে ছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা আবার উত্তর পূর্ব উন্নয়ন জোট বা এনইডিএ-র প্রধান। তবে এই জোট আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছে পরিস্থিতি যাইহোক না কেন কংগ্রেস বা তৃণমূলের সঙ্গে এই জোট সরকারের যাবে না।