সংক্ষিপ্ত
- রবিবার ভোর পাঁচটা থেকে শবরীমালা মন্দির পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়
- কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে শবরীমালা মন্দির
- ১০ জন মহিলাকে মন্দির ঢোকার আগেই মন্দির থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়
- শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে মহিলাদের পুলিশ সাহায্য করবে না বলে জানিয়েছে কেরল সরকার
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই শনিবার থেকে শবরীমালা মন্দির খুলল। কিন্তু সবরীমালা বেস ক্যাম্প থেকেই ১০ জন মহিলাকে ফিরিয়ে দেওয়া হল। এই ১০ জন মহিলার বয়স ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। মন্দিরে পুজো দিতে এসে ফিরে যাওয়ায় হতাশ ১০ মহিলা। তাঁরা পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করে, শবরীমালাতে এখন মেয়েরাও পুজো দিতে পারবেন। কিন্তু পুলিশ সেই কথায় কর্ণপাত করেনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা আর নতুন করে কোনও সমস্যা চায় না।
শনিবার মন্দিরে ওঠার পাঁচ কিলোমিটার আগে বেস ক্যাম্পেই পুলিশ আটকে দেয় দশ জন মহিলাকে। বয়সের কারণে তাঁদের মন্দিরে উঠতে নিষেধ করা হয়। যদিও সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সব বয়সের মহিলাদের মন্দিরে ঢোকার বিষয়ে আগের রায়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন করে কোনও সমস্যা ওই মহিলারাও চাইছিলেন না। তাই পুলিশকর্মীদের ওপর জোর না করেই তাঁরা নীচে নেমে আসেন। তাঁরা জানান, ক্ষুব্ধ মহিলারা বলেছেন, আমরা জানতাম গত বছরই মন্দিকে ঢোকার বিষয়ে আদালত সমস্ত বিধি নিষেধ তুলে নিয়েছে। এই কথা আমরা পুলিশকেও বললাম। কিন্তু কোনও লাভ হল না।
যুদ্ধ শেষ, হায়দরাবাদ ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চালকের মৃত্যু
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শনিবার শবরীমালা মন্দির খুললেও রবিবার ভোর পাঁচটা থেকে পুণ্যার্থীরা পুজো দিতে শুরু করেছেন। শবরীমালায় পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গত বছরই সুপ্রিম কোর্ট শবরীমামলায় সব বয়সি মহিলাদের প্রবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সক্রিয় হয়। সেই সময় এই রায় কার্যকর করতে কেরল সরকার সক্রিয় হলেও ধর্মীয় বিশ্বাসের দোহাই দিয়ে বেঁকে বসে একটি সম্প্রদায়। তবে শুক্রবারই কেরল সরকারের দেবস্বম মন্ত্রী কড়কমপল্লি সুরেন্দ্রন জানান, কোনও মহিলা শবরীমালা মন্দিরে পুজো দিতে চাইচে রাজ্য সরকার আর তাঁকে পুলিশি সহায়তা দেবেন না। যদি কেউ মনে করে, তাঁর পুলিশি নিরাপত্তা প্রয়োজন, আদালতে গিয়ে তার নির্দেশ নিয়ে আসতে হবে।