সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি শচীন পাইলট ও অশোক গেহলটের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন দলের হাইকমান্ডের নেতারা। বৈঠকের পরে, কেসি ভেনুগোপাল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যে এখন সবকিছু ঠিক আছে।
দুই বছর ধরে রাজস্থানে যে রাজনৈতিক উত্থান চলছে তা নতুন পথে যেতে পারে। সূত্রের খবর, হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও শচীন পাইলট সন্তুষ্ট না হয়ে এখন নিজের দল গঠন করতে চলেছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শচীন পাইলট তার বাবা রাজেশ পাইলটের মৃত্যুবার্ষিকী ১১ জুন একটি নতুন দল ঘোষণা করতে পারেন। আলোচনা অনুসারে, রাজস্থানে দুটি নতুন দলের নাম রেজিস্টার করা হয়েছে এবং এই দলের একটির নাম 'প্রগতিশীল কংগ্রেস'। শচীন পাইলট যদি এই পদক্ষেপ নেন, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে।
সম্প্রতি শচীন পাইলট ও অশোক গেহলটের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন দলের হাইকমান্ডের নেতারা। বৈঠকের পরে, কেসি ভেনুগোপাল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যে এখন সবকিছু ঠিক আছে। তবে দু’দিনের মধ্যেই এই দাবি ফাঁস হতে শুরু করে। শচীন পাইলট একটি বিবৃতি দিয়েছেন যে দুর্নীতির ইস্যুতে কোনও আপস করা হবে না। সেই সঙ্গে অশোক গেহলটের মনোভাব দেখে মনে হয়েছে, দুই নেতাই এক মতে আসতে একেবারেই প্রস্তুত নন।
নাম ঠিক হয়েছে, শুধু ঘোষণার অপেক্ষা
শচীন পাইলট যখন রাজস্থানে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন, ঠিক সেই সময়েই বলা হয়েছিল যে তিনি তাঁর নতুন দল গঠন করতে চলেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশান্ত কিশোরের একটি দল শচীন পাইলটের সাথে কাজ করছে এবং সে অনুযায়ী তিনি তার কৌশলও তৈরি করছেন। বলা হচ্ছে, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শচীন পাইলটের দাবি মানা হচ্ছে না, তাই তাঁর কাছে আর কোনও উপায় ছিল না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি নতুন দুটি রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশনও সম্পন্ন হয়েছে। ১১ জুন, তার বাবা রাজেশ পাইলটের মৃত্যুবার্ষিকীতে, শচীন পাইলট দৌসা থেকেই তার নতুন দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারেন বলে আলোচনা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কতজন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যান, সেটাই দেখতে হবে। নির্বাচনের বছরে শচীন পাইলটের এই পদক্ষেপ কংগ্রেসের জন্য খুবই মারাত্মক হতে পারে।
এর আগে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন শচীন। আর সেই অভিযোগ নিয়ে তিনি হাইকমান্ডের দ্বারস্থ হন। তবে হাইকমান্ড জানিয়ে দিয়েছে, ঐক্যবদ্ধভাবে রাজস্থানে লড়বে কংগ্রেস। আর নিজের দাবি থেকেও সরে আসতে নারাজ শচীন। ফলে সেই জায়গা থেকে শচীন পাইলট নয়া দল গঠনের পথে হাঁটছেন বলেই দাবি। আগে, এই নিয়ে কেসি বেণুগোপাল, গেহলট, পাইলট, রাহুল গান্ধীর মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। তবে তাতে যে বিশেষ লাভ হয়নি, তা বলাই বাহুল্য।