সংক্ষিপ্ত

জয়পুরে ফিরে শচীন পাইলট জানালেন তিনি মর্মাহত
 জয়সালমেরে গিয়ে অস্বস্তিতে অশোক গেহলট গেলহট 
দলীয় বিধায়কদের বিক্ষোভ শুরু 
সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমানের রণকৌশল শুরু 


মঙ্গলবার রাতেই রাজস্থানের জয়পুরে পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। তারপর থেকেই তাঁকে মুখোমুখি হতে হয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্নের। যার মধ্যে প্রথম প্রশ্নই  হল তিনি কী রাজস্থানের আগামী মুখ্যমন্ত্রী । দ্বিতীয় যে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে শচীন পাইলটকে তা হল উপমুখ্যমন্ত্রী আর প্রদেশ সভাপতির পদ  কী ফিরে পাবেন শচীন পাইলট। যদিও  এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি কংগ্রেস নেতা। কিন্তু মুখ খুলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের তাঁকে নিকম্মা বলা নিয়ে। তবে তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেই বলেন রাজনীতিতে ব্যক্তিগত শত্রুতার কোনও স্থান নেই। যিনি তাঁকে নিকম্মা বলেছেন তাঁকেও তিনি যথেষ্ট সম্মান করেন। 

প্রায় এক মাস পর রাজস্থানে ফিরলেন শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ক। অশোক গেহলটের নাম না করেই শচীন পাইলট বলেন তাঁর পারিবারিক মূল্যবোধ তাঁকে অশালীন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে শেখায়।  ব্যক্তিগত শক্রুতা থাকলেও অশালীন মন্তব্য তিনি করেন না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। পাশাপাশি অশোক গেহেলট প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন তাঁর প্রাক্তন বস দীর্ঘ ১৮ মাস তাঁর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করেননি। কিন্তু সেই সময় তিনি রাজস্থান সরকারের দ্বিতীয়ব্যক্তিত্ব ছিলেন বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন। অশোক গেহলটের মন্তব্যে তিনি মর্মাহত হলেও তার কোনও উত্তর দেবেনা বলেও জানিয়েছেন শচীন পাইলট। তিনি আরও জানিয়েছেন ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে শালীনতা বজায় রেখে চলছেন। আগামী দিনেও সেই রাস্তাতেই তিনি হাঁটবেন ।

অন্যদিকে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর টিম শচীন পাইলট রীতিমত দর্পের সঙ্গে রাজস্থানে তো ফিরেছেন। দলেও ফিরে ফিরছেন বলে সূত্রের খবর। আর তাতে ঘনিষ্ট মহলে কিছুটা হলেও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অশোক গেহলট। বিদ্রোহী বিধায়কদের প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, হাইকমান্ড যদি বিদ্রোহীদের ক্ষমা করে দেয় তাহলে তিনি তাঁদের উষ্ণ আলিঙ্গন করবেন। বিদ্রোহী বিধায়কদের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা তাঁর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

শচীন পাইলটদের প্রত্যাবর্তনের খবরে কিছু হলে বিপর্যস্ত গেহলট শিবির। বর্তমানে তাঁর শিবিরের বিধায়করা রয়েছেন জয়সালমেরে। কিন্তু সেখানে গিয়েও দলের সমর্থক বিধায়কদের বিদ্রোহের মুখে পড়তে হয়েছে অশোক গেহলটকে। কারণ তাঁর অনুগামীরা কোনও শাস্তি ছাড়াই শচীনদের দলে ফিরে আসা ভালোভালে নেয়নি। রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে ১৪ই অগাস্ট সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমানের রণকৌশলও তৈরি করতে হচ্ছে ৬২ বছরের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে।