গডসে মন্তব্য়ে উত্তাল সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞার সাংসদ পদ খারিজের দাবি চাপের মুখে ক্ষমা চাইলেন বিজেপি সাংসদ  সুর চড়ালেন রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে

উত্তাল সংসদ, মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারীকে বিতর্কিত মন্তব্য়ের জন্য ক্ষমা চাইলেন। রাহুল গান্ধীকে কিন্তু পাল্টা আক্রমণও করলেন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ওরফে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তাঁর বক্তব্য, 'এটা খুবই দুঃখজনক যে আমার মন্তব্য়কে বিকৃত করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাঁর প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। যদি কারোও ভাবাবেগে আঘাত লেগে থাকে, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীরা আমার মন্তব্যকে বিকৃত করেছে। ' শুক্রবার সাধ্বী প্রজ্ঞা যখন লোকসভা বক্তব্য রাখছিলেন, তখন তুমুল হই-হট্টগোল শুরু হয় সংসদে। অবিলম্বে সাধ্বীর সাংসদ পদ খারিজ দিতে তোলেন কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের সাংসদ।

বিতর্কের সূত্রপাত গত বুধবার। সেদিন স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ-এর সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল সংসদে। আলোচনা চলাকালীন কেন মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল, তা নিয়ে নাথুরাম গডসে-এর একটি উক্তির উল্লেখ করেন ডিএমকে সাংসদ এ রাজা। বলেন, 'গডসে নিজেই স্বীকার করেছিল, গান্ধীকে হত্যার আগে ৩২ বছর ধরে জাতির জনকের প্রতি রাগ পুষে রেখেছিল সে।' আর সঙ্গে সঙ্গেই ডিএমকে সাংসদ থামিয়ে দিয়ে বিজেপি সাধ্বী প্রজ্ঞা বলে ওঠেন, সংসদে সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনায় 'দেশভক্ত'-এর উদাহরণ দেওয়া যায় না! আর তাতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সংসদে। একযোগে বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন বিরোধী শিবিরের সাংসদ। কোনওমতে সাধ্বী প্রজ্ঞাকে বসিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি-এর অন্যান্য সাংসদরা। 

শুক্রবারও যথারীতি এই ইস্যুতে সংসদের তুমুল হই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী শিবিরে সাংসদরা। চাপের মুখে শেষপর্যন্ত লোকসভায় দাঁড়িয়ে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ওরফে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। 

Scroll to load tweet…

Scroll to load tweet…

রাহুল গান্ধীকে পাল্টা আক্রমণ করে সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, 'আমার মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। সংসদের একজন সদস্য কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমাকে সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছে। এটা অত্যন্ত অসম্মানজনক।'

Scroll to load tweet…