সংক্ষিপ্ত
সুপ্রিম কোর্টে আবার উঠল জ্ঞানবাপি মসজিদ মামলা। মসজিদে পাওয়া কাঠামো বা শিব লিঙ্গ নিয়ে বড় নির্দেশ দিয় আদালত। মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের বেঞ্চে।
বারাণসীর জ্ঞানবাপি -শ্রীঙ্গার গৌরি কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে যেখানে একটি শিবলিঙ্গ পাওযা গেছে বলে সম্প্রতি রিপোর্ট করা হয়েছে সেই এলাকার নিরাপত্তা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বজায় রাখার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এএস নরসীমার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি হিন্দু পক্ষকে জ্ঞানবাপি মসজিদ নিয়ে দায়ের হওয়া যাবতীয় মামলা একত্রিত করার জন্য বারাণসী জেলা বিচারকের কাছে একটি আবেদন করার অনুমতি দিয়েছে।
অন্যদিকে জ্ঞানবাপি মসজিদ এলাকায় সার্ভে নিয়ে সার্ভে কমিশনার নিয়োগ বিষয়ে এলাহবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া সমজিদের পরিচালনা কমিটির দায়ের করা আপিলের জবাব দেওয়ার জন্য হিন্দু পক্ষকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
জ্ঞানবাপি মসজিদ মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোক্ট গতকালই একটি বিশেষ বেঞ্চ তৈরির কথা জানিয়েছিল। সেই বেঞ্চেই এদিন মামলার শুনানি হয়। ন্য়দিকে এই মামলার শুনানি চলছে এলাহবাদ হাইকোর্টেও। জ্ঞানবাপী মসজিদের শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারণ করার বিষয় এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি এলাহবাদ হাইকোর্ট। তবে আদালত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রধানের কাছে জানতে চেয়েছে শিবলিঙ্গ বা কাঠামোটির কোনও ক্ষতি না করে সেটির কার্বন ডেটিং, গ্রাউন্ড নেনিট্রোটিং ব়্যাডার বা জিআরপি পরীক্ষা করা যায়নি কিনা। এই বিষয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রধানের কাছে থেকে এই বিষয়ে একটি লিখিত মতামাত চেয়েছে। খনন ও অন্যান্য পদ্ধতিতে যদি কাঠামোটির বয়স নির্ধারণ করা হয় তাহলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা তাও জানতে চেয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। কাঠামোটির সম্পূর্ণ নিরাপদ মূল্যায়ন করা যাবে কিনা - সেই বিষয়ে সংস্থার প্রধানের মতামতও জানতে চেয়েছে।
গত ১৭ মে সুপ্রিম কোর্ট জ্ঞানবাপি মসজিদ কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সার্ভেতে বলা হয়েছে মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে শিবলিঙ্গ রয়েছে। যদিও মুসলিম পক্ষের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ওটি সেখানে রয়েছে। এটি একটি জলের ফোয়ারামাত্র।
গত ২০ মে শীর্ষ আদালত জ্ঞানবাপি সমজিদ বিয়ে হিন্দু ভক্তদের দায়ের করা জেওয়ানি মামলাকে সিভিল জজ থেকে বারাণসী জেলা জজের কাছে স্থানন্তর করতে বলেছিল। পাশাপাশি আদালত বলেছিল এটি একটি জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়। ২৫-৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন সুনিয়র জুডিশিয়াল অফিসার যদি এই মামলা পরিচালনা করেন তাহলে ভাল হয় বলেও মত ছিল আদালতের।
জ্ঞানবাপি মামলার আরও একটি দিক রয়েছে। ৪ নভেম্বর দায়ের করা মামলায় মসজিদ প্রাঙ্গনে পাওয়া শিবলিঙ্গের পুজোর অনুমতি চেয়ে মামলা করেছে হিন্দুরা। এই মামলার রায় ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। মসজিদ কমিটি মাজারের প্রার্থনা করার অধিকার দাবি করে। কিন্তু হিন্দু ভক্তরের আবেদনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। একটি ট্রায়াল কোর্ট হিন্দু মহিলাদের পিটিশন বৈধ বলে জাননোর পরে মসজিদ পরিচালনার আপিল নিয়ে এলাহবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ রয়েছে। যদিও তা এখনও বিচারাধীন।
আরও পড়ুনঃ
পুলিশকে শিরদাঁড়া সোজা রাখতে হবে, ডেপুটেশন দিতে এসে হুমকি কংগ্রেসের- পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের
Liquor Policy: দিল্লি ও পঞ্জাবের পর এবার সিবিআই-এর নজরে বাংলা, উঠছে একটি ফরাসি সংস্থার নামও