সংক্ষিপ্ত
ত্রিপুরায় কোনও রাজনৈতিক দলকে যাতে প্রচার করতে বাধা না দেওয়া হয়, এর আগে ত্রিপুরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মর্মেই আবেদন দাখিল করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আজ ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি (law and order situation in Tripura) নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) অবমাননার আবেদনের (contempt plea) শুনানি। সোমবার সেই আবেদনের শুনানি করতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত। ত্রিপুরায় কোনও রাজনৈতিক দলকে যাতে প্রচার করতে বাধা না দেওয়া হয়, এর আগে ত্রিপুরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মর্মেই আবেদন দাখিল করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি ত্রিপুরায় কোনওভাবেই তাদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এএমসি) এবং রাজ্যের অন্যান্য ১২টি পৌরসভার নির্বাচনের আগে রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক হিংসার নানা খবর মিলেছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ত্রিপুরা জুড়ে। এদিকে, রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ত্রিপুরার রাজনীতি। দফায় দফায় তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘ তিন ঘণ্টায় থানায় ডেকে জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে।
তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টারও অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকেই নর্থ ব্লকে ধর্না অবস্থানে বলে তৃণমূলকংগ্রেসের সাংসদরা। রাতেই তৃণমূলের ১৫ জনের প্রতিনিধি দল দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন।
সোমবার সকাল থেকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। দিনভর বিক্ষোভ অবস্থানের পর বিকেলে অমিত শাহ তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন। তবে তাতে শান্ত হয়নি রাজ্যের তৃণমূল কর্মীরা। উল্লেখ্য, রবিবারই সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার সামনে দিয়ে তীব্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়ি ধাক্কা মানে এক পথচারীকে। এই অভিযোগে সায়নীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
এছাড়াও বিপ্লব দেব সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগও তুলেছিল পুলিশ। সায়নীকে থানায় জিজ্ঞাবাদের জন্য ডাকার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ত্রিপুরার রাজনীতি। যার আঁচ পড়েছিল এই রাজ্য ও দিল্লিতেও। সায়নীর অভিযোগ, তাঁকে শারীরিকভাবেও হেনস্থা করা হয়েছে। থানার মধ্যেই যেভাবে হামলা চালান হয়েছে তাতে তিনি রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন থানায় হামলা পরই তাঁকে অন্য একটি থানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতেই সায়নী তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন।