সংক্ষিপ্ত
দিন কয়েক ধরেই মিজোরাম সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে সেনা শাসনের বিরোধীরা ক্রমশই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেনার সঙ্গে প্রায়ই যুদ্ধে হচ্ছে। এই হিংসা থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন।
আবারও মায়ানমার থেকে শরণার্থীরা আসতে শুরু করেছে ভারতে। ইতিমধ্যে প্রায় শত শত মানুষ মায়ানমার সীমান্ত পার হয়ে এদেশে প্রবেশ করেছে। আগামী দিনে আরও শরণার্থী এই দেশে আসতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। মিজোরামের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লালচামলিয়ানা বলেছেন তিনি বর্তমানে অসুস্থ হয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। তাই পুরো তথ্য তাঁর কাছে নেই। তবে ময়ানমার সীমান্ত পার হয়ে যে শতাধিক মানুষ মিজোরামে প্রবেশ করেছে সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত।
দিন কয়েক ধরেই মিজোরাম সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে সেনা শাসনের বিরোধীরা ক্রমশই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেনার সঙ্গে প্রায়ই যুদ্ধে হচ্ছে। এই হিংসা থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। চলতি বছর মার্চ মাস থেকেই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে ময়ানমারের বাসিন্দারা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করছে। বিশেষত মিজোরাম দিয়েই তারা এই দেশে আসছে। সরকারি পরিসংখ্যন অনুযায়ী প্রায় ১০ হাজার ময়ানমারের বাসিন্দা এই দেশ অনুপ্রবেশ করেছে। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে তারা বসবাস করছে।
বিজয় রুপানি কেন সরে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে, গুজরাটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে জল্পনা
Taliban Govt: ৯/১১ হামলার দিনেই সরকার উদ্ধোধন, কী এমন হল যে পিছিয়ে গেল তালিবানরা
9/11: ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলায় সৌদি আরব যোগ, ২০ বছর পর সামনে এল বিমান ছিনতাইকারীর গোপন তথ্য
মিজো মুখ্যসচিব লালনুনমাওয়িয়া চুয়াংগো কথা অনুযায়ী সীমান্তের ওপার হিংসা মারাত্মক আকার নিয়েছে। সেই কারণেই প্রাণ বাঁচাতে তারা ময়ানমারের বাসিন্দারা এই দেশে প্রবেশ করেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা দেশে ফিরে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। মায়ানমার আর মিজোরামের মধ্যে ৫১০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। মিজোরামে যেসব শরণার্থীরা রয়েছে তারা বেশিরভাগই সেই দেশের চিন রাজ্যের বাসিন্দারা। এরা মিজোরামের চম্পাই, হিনথিয়াল, সেরচিপ, সাইটুয়াল, সিয়াহা আর লাংতলাই জেলায় বাস করছে। মিজোদের সঙ্গে চিন জেলার বাসিন্দারা রাতীমত ঘনিষ্ট। জাতিগত সম্পর্কও রয়েছে উভয়ের মধ্যে।
স্থানীয় এক জেলা শাসক জানিয়েছেন গত কয়েক দিন ধরে ছোট ছোট জলে প্কায় সাড়ে তিনশো মায়ানমারের বাসিন্দা এই দেশে এসেছে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে সঠিক সংখ্যা নেই। তারা মূলত ৬টি গ্রামে রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের অধিকাংশই বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশু। বেশ কয়েকজন অসুস্থ মানুষও রয়েছে।