সংক্ষিপ্ত
মৃদুভাষী বিজয় রুপানির হাতে বিজেপি নিরাপদ নয়। সেই কারণেই নাকি সরে যেতে হল তাঁকে, তেমনই বলছে একটি সূত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক ১৫ মাস আগে আচমকা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিজয় রুপানি। কিন্তু কেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে বিষয়টি নিয়ে রুপানি যেমন মুখে কুলুপ এঁটেছেন তেমনই বিজেপিও এই বিষয় নিয়ে তেমন কোনও স্পষ্ট মন্তব্য করেনি। তবে বিজেপি সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই রাজ্যের করোনামহামারি পরিস্থিতি মোতাবিলা করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আর সেই কারণেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল। এছাড়াও রয়েছে আরও কতগুলি কারণ। পাশাপাশি গুজরাটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
১ম কারণঃ
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিজয় রুপানি। মহামারি মোকাবিলায় তাঁর পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্যের মানুষ সন্তুষ্ট নয়। করোনার প্রথম তরঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবাসহ একাধিক বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ই গুজরাটে প্রকট হয়েছিল অক্সিজেন সংকট। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রুপাটি ব্যর্থতা দলকে সংকটে ফেলতে পারে। আর সেই কারণেই ভোটের আগে তাঁকে সরে যেতে হল।
২য় কারণঃ
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের মহামারি মোকাবিলা ছাড়াও অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের বিরুদ্ধেও বিজয় রুপানি কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে সাফল হয়নি। যা নিয়ে রাজ্যের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল।
৩য় কারণঃ
অন্য একটি সূত্রের দাবি বিজয় রুপানির নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল দলের অন্দরে। ২০১৭ সালে তাঁরই নেতৃত্বে গুজরাটে বিধানসভা ভোটে লড়াই করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেবার ১০০ আসনও পায়নি বিজেপি। যা নিয়ে প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী সরব ছিল।
৪র্থ কারণঃ
বিজেপির একটি সূত্রের দাবি বিজেপির অন্তরকহলের জন্যই সরে যেতে হল বিজয় রুপানিকে। গুজরাটে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সিআই পাতিলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছিল। যা ভালোভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
৫ম কারণঃ
বিজেপির একটি সূত্রের দাবি রাজ্যের আমলাদের নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন তিন। বিজেপির বিধায়কদের অভিযোগ ছিল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
৬ষ্ঠ কারণঃ
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর বিজয় রুপামি মৃদুভাশী। সেই কারণেই দল ও প্রশাসনের নেতৃত্ব কড়া হাতে ধরতে পারেনি। গুজরাটের একজন দুর্বল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
বিজয় রুপানির পদত্যগের পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সামনে আসছে গুজরাটের দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রাশক আর রাজ্যের কৃষি মন্ত্রীর নাম। রাজ্যের দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ও পরশোত্তম রূপালান নাম ঘুরছে বিজেপি অন্দরে। পাশাপাশি লাক্ষা ও দাদরা নগর হাভেলি আর দমন ও দিউ-র বিতর্কিত প্রশাসক প্রফুল খোড়া প্যালেটের নামও রয়েছে আলোচনায়। গুজরাটের কৃষি মন্ত্রী অরসি ফালদুর নামও নাকি প্রস্তাব করেছেন অনেকে। তবে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না গুজরাটের উপ মুখ্যমন্ত্রী নিতিন প্যাটেলের নামও।