সংক্ষিপ্ত

  • রাম মন্দির বানাতে সোনার ইট দেবেন
  • ৫ আগস্ট ভূমি পুজোর দিন এই ইট দিতে চান
  • প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান সোনার ইট
  • এমনটাই ইচ্ছা সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্রের

অযোধ্যায়  রামমন্দির নির্মাণ বিতর্কের অবসান হয়েছিল গত বছরের নভেম্বরেই। এর পরই শুরু হয় মন্দির তৈরির তোরজোড়। গঠন করা হয় ট্রাস্ট। এবার এসে গেছে সেই মহেন্দ্রক্ষণ। করোনা আবহেই আগস্টের  প্রথম সপ্তাহে রাম মন্দিরের জন্য ভূমিপূজা হতে চলেছে অযোধ্যায়। ৩ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট হবে সেই ভূমিপূজোর উৎসব। ৫ আগস্ট সেখানে স্বয়ং হাজির থাকবেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রা দৈনিক ১০ লক্ষ করে করোনা পরীক্ষা, হাইটেক ল্যাবের উদ্বোধনে নিজের সরকারকেই বাহবা মোদীর

এবার সেই মন্দির তৈরিতে অবদান রাখতে চান এক স্বঘোষিত মুঘল উত্তরাধিকারী। মন্দির বানাতে মোদীর হাতে একটি সোনার তৈরি ইট তুলে দিতে চান প্রিন্স ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি নামের ওই ব্যক্তি। যিনি ভারতের শেষ স্বাধীন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্র। 

বর্তমানে প্রিন্স ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি হায়দরাবাদে থাকলেও অযোধ্যার প্রতি তাঁর টান যায়নি। শেষবার ২০১৮ সালে অযোধ্যায় আসেন। সেবার সন্তদের সঙ্গেও রাম মন্দির বানানো নিয়ে কথা বলেন তিনি। প্রিন্স ইয়াকুব বলেছেন, ‘ভারতের হিন্দু ভাইদের আমার অভিনন্দন। মন্দির নির্মাণের জন্য আমি যে এক কেজি ওজনের সোনার ইট দেব বলেছিলাম তা তৈরি হয়ে গেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানিয়েছি যে, তার হাতেই এই ইট আমি তুলে দিতে চাই।’

আরও পড়ুন: বায়ুসেনার অন্তর্ভূক্ত হওয়ার ৭ দিনের মধ্যেই লাদাখে, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকে নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

অযোধ্যায় রামমন্দির ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ বানানো হয় মুঘল সম্রাট বাবরের আমলে, এমনটাই দাবি করে থাকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির। এ নিয়ে দীর্ঘ বিবাদও ছিল। অবশেষে ওই জমিতে মন্দির নির্মাণ হবে বলেই গতবছর রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।  তার বদলে  অন্যত্র পাঁচ একর জমিতে মসজিদ তৈরি হবে। এবার সেই রাম মন্দির নির্মাণেই সম্প্রীতির বার্তা দিলেন বাবরের বংশধর। 

আরও পড়ুন:যোগ দিতে হবে ভূমি পুজোয়, ৮০০ কিলোমিটার হেঁটে অযোধ্যায় যাচ্ছেন রামভক্ত ফৈয়াজ

তুসির থেকে এই ইট নেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে অবশ্য রামমন্দির নির্মাণ ট্রাস্টের পক্ষে কিছু জানা যায়নি। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট আগেই জানিয়েছে, মন্দির নির্মাণে যে কোনও ধর্ম, সম্প্রদায়ের মানুষ পাশে দাঁড়াতে পারেন। সকলের দানই গ্রহণ করা হবে। এর জন্য ধর্ম দেখা হবে না। বলা হয়, ভগবান রামের উপরে বিশ্বাস রয়েছে, এমন সকলের থেকেই দান গ্রহণ করা হবে।