সংক্ষিপ্ত

  • করোনা টিকার দাম জানাল সেরাম ইনস্টিটিউট 
  • জরুরি ভিত্তিতে আবেদন জানিয়েছে ভারতে 
  • এমাসেই হাতে আসবে করোনা টিকা 
  • আশ্বাস দিয়েছেন সেরাম কর্তা 
     

করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যেই ভারেতর ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে আবেদন জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়। সংস্থাটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্র্যোজেনেকার তৈরি প্রতিষেধক তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ।  আগামী বছরের প্রথম দিকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। শেষ খবর অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা টিকার প্রতি ডোসের দাম পড়বে ২৫০ টাকা। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য করোনার দুটি ডোজ গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও গবেষকরা। অর্থাৎ কেউ যদি সেরামের তৈরি প্রতিষেধক ব্যবহার করেন তাহলে ব্যক্তিপ্রতি করোনা টিকা গ্রহণের জন্য খরচ পড়বে ভারতীয় মূল্যে ৫০০ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার সেরামের প্রতিষেধক সরবরাহ করবে বলে আগেই আশা প্রকাশ করেছিল। 

সেরাম ইনস্টিউটের প্রধান আদার পুনেওয়ালা আগেই জানিয়েছিলেন ভারতের বেসরকারি বাজারে তাঁদের তৈরি করোনা টিকার দাম পড়বে এক হাজার টাকা। তবে সরকার যদি বড় সরবরাহ চুক্তি করে তাহলে দাম অনেকটাই কমে যাবে।  একটি সূত্র বলছে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সেরাম চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। যেখানে ডোজ প্রতি করোনা টিকার দাম ধার্য করা হয়েছে ২৫০ টাকা। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে বলেও জানান হয়েছে। সূত্রের খবর খুব তাড়াতাড়ি প্রায় ৬০ মিলিয়ন টিকা সরবরাহ করতে পারে সেরাম।  গতকালও সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে আদার পুনেওয়ালা জানিয়েছেন ২০২০ সালের শেষ হওয়ার আগেই সেরাম ইনস্টিটিউট করোনা টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছে। তিনি আরও বলেন কোভিশিল্ডই প্রথম ভারতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক। এটি বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পথ চলায় তাদের সহযোগিতা করেছেন বলেও ধন্যবাদা জানিয়েছেন আদাল পুনেওয়ালা। 

তবে সেরামের আগেই ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করোনা প্রতিধেক ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানিয়েছে মার্কিন সংস্থা।  তবে এখনও সেবিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশ্বের সর্ববৃহত প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরামের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি করেছে জিএভিআই ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে করোনা টিকা পৌছেঁ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই সংস্থাগুলি কাজকে।