সংক্ষিপ্ত
সংসদ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানের কারণে দর্শনার্থীরা সুবিধেমত এসব মূর্তি দেখতে পারেননি। এ কারণে সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে একটি বিশাল প্রেরণা স্থলে এই সব মূর্তি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্থাপন করা হচ্ছে।
নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের পর সংসদ কমপ্লেক্সের ল্যান্ডস্কেপিং ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য একটি বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে লোকসভা সেক্রেটারিয়েট বা লোকসভা সচিবালয় । সংসদের উচ্চ মর্যাদা ও সাজসজ্জা অনুযায়ী কমপ্লেক্সটিকে জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় তাই লক্ষ্যে। একটি প্রেস রিলিজে এমনটাই জানান হয়েছে।
সংসদ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থানে দেশের মহান নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মূর্তি স্থাপন করা হয়। এই মহান নেতা ও মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির স্বাধীনতা, জাতির সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক নবজাগরণে এবং স্বাধীনতার পর দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে শক্তিশালীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এই মহান বীরগণ তাদের জীবন, দর্শন ও কর্মের মাধ্যমে দেশের উপজাতীয় অহংকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং শোষিত-বঞ্চিত সমাজের উন্নতির পথ প্রশস্ত করেছিলেন। তারা আমাদের জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করাই মূল উদ্দেশ্য।
সংসদ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানের কারণে দর্শনার্থীরা সুবিধেমত এসব মূর্তি দেখতে পারেননি। এ কারণে সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে একটি বিশাল প্রেরণা স্থলে এই সব মূর্তি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্থাপন করা হচ্ছে। এই প্রেরণা স্থলটি এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যাতে সংসদ চত্বরে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা এই নেতাদের মূর্তিগুলি সহজেই দেখতে পারে এবং তাদের জীবন ও দর্শন থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে।
এই প্রেরণা স্থলে আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন ও অবদান সম্পর্কে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দর্শনার্থীদের বিস্তারিত তথ্য প্রদানের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে, যাতে তাদের পরিদর্শনে আগত লোকজন তাদের জীবন ও চিন্তা থেকে অনুপ্রেরণা পায়। তারা এই শ্রদ্ধার স্থানে মহান নেতাদের তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।
সংসদ ভবন কমপ্লেক্স লোকসভার স্পিকারের এখতিয়ারের অধীনে থাকে। অতীতেও লোকসভা স্পিকারের অনুমতি নিয়ে কমপ্লেক্সের ভিতরে মূর্তিগুলি স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সংসদ ভবন চত্বর থেকে কোনও নেতার মূর্তি সরানো হয়নি। তাদের মূর্তিগুলো সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের ভেতরে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ও সম্মানের সঙ্গে স্থাপন করা হচ্ছে।