সংক্ষিপ্ত

কুকুরের কামড় থেকে নিস্তার পেতে এবার স্কুল বন্ধ করল প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলও। থমকে গিয়েছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পও।

 

কুকুরের কামড়ে অতিষ্ট জনজবীন। এই অবস্থায় শিশুদের নিরাপদে রাখতে সোমবার বন্ধ করে দেওয়া হল সাতটি স্কুল আর ১৭টি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল। কুকুরের আক্রমণের কারণে পথঘাট বার হতে ভয় পাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী কেরলের কোঝিকোড়ের কুথালি পঞ্চায়েত এলাকা।

রবিবার সন্ধ্যে থেকেই কুকুরের আক্রমণ শুরু হয়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যার্থ হয়। তারপরই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে রবিবার সন্ধ্যেতেই কুথলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৫ জন বাসিন্দাকে কুকুরে কামড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে শিশুদের বাড়ির বাইরে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে বাবা ও মায়েরা। অন্যদিকে কুকুরের আক্রমণে থমকে গেছে MGNREGA বা ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজও। সবমিলিয়ে কুথিলা গ্রামের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কারণ কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছে গোটা গ্রাম। য়ারা বাইরে বার হচ্ছে তারা নিজেদের জীবন হাতে করে নিয়ে বার হচ্ছে।

কুথালি ভোকেশনার হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ভেঙ্গপট্টা ইউপি স্কুল, কুথালি ইউপি স্কুল, কল্লোডু এলপি স্কুল, পৈথত এলপি স্কুল ও কল্লুর এমএলপি স্কুলে ছুটি দেওয়া হয়েছে। জুন মাস থেকে এপর্যন্ত কেরলে শুধুমাত্র কুকুরের কামড়েই জখম হয়েছে প্রায় ২০ হাডার মানুষ। গতমালে একটি সারমেয় ৯ বছরের একটি ছাত্রকে আক্রমণ করে। সে নিজের বাড়ির বাগানে খেলছিল- তখনই সারমেয়ের দল হামলা চালায়। শিশুটিকে আঁচড়ে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। তাকে টেনে হিঁচ়ড়ে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায়। শিশুটির মাথা, পেট, আর উরুতে গুরুতর চোট রয়েছে।

সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত ১য়৪ লক্ষেরও বেশি মানুষকে আক্রমণ করেছে কুকুর। এই রাজ্যে প্রায় প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি মানুষ কুকুরের আক্রমণে জখম হচ্ছে। কান্নুরে ১১ বছরের এক শিশু -সহ তিন জন গত ১ মাসে কুকুরের হানায় মারা গিয়েছে। গত ৬ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। রাজ্যের প্রাণী কল্যাণ দফতর জানিয়েছে রাজ্যে প্রায় ২.৮৯৯৮৬টি রাস্তারকুকুর রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

৭০ বছর লোহার ফুসফুসে বন্দি থেকেও অদম্য পল আলেকজান্ডার, পড়াশুনা-প্রেম- চাকরির সঙ্গে গিনেজ বুকে নামও তুলেছেন

পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার হটস্পট ভাঙড়, অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পরেও কেন আশান্তি

পাকিস্তানি মহিলার পাতা হানিট্র্যাপে ভারতের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী, দিয়েছেন মিসাইল সিস্টেমের বিস্তারিত তথ্য