সংক্ষিপ্ত

প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার পুনেতে কর্মরত ভারতীয় বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার। পাকিস্তানের গোয়েন্দারে পাতা হানিট্র্যাপে পড়েছিলেন তিনি।

 

পাকিস্তানের গোয়ান্দেদের এজেন্টের পাতা হ্যানিট্র্যাপে ভারতের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী। রীতিমত বিধ্বস্ত দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সূত্রের খবর ভারতীয় মিসাইল সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বিজ্ঞানী পাকিস্তানের এজেন্টের হাতে তুলে দিয়েছেন। কারণ তাদের মিসাইল সিস্টেম নিয়ে চ্যাট হাতে পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার পুনেতে কর্মরত ভারতীয় বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার। পাকিস্তানের গোয়েন্দারে পাতা হানিট্র্যাপে পড়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানি এজেন্ট জারা দাশগুপ্ত ছদ্মনাম নিয়ে দিনের পর তাঁর সঙ্গে মেলামেশা করেছে। তাদের মধ্যে একাধিকবার চ্যাট হয়েছে। আর সেই চ্যাটেও ভারতীয় মিসাইল সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিক কথাবার্তা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ হয়েছে। সেই চার্জশিটেই এই অভিযোগ করা হয়েছে বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকারের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী স্কোয়াড গত সপ্তাহে স্থানীয় একটি আদালতে, পুনের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছে।

আগেই , গত ৩ মে সিক্রেটস অ্যাক্টসের আধীনে বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে বিজ্ঞানী জেল হেফাজতে রয়েছে। তাঁর যাবতীয় নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চার্জশিটে ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি কুরুলকার ও জারা দাশগুপ্ত হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি ভয়েস ও ভিডিও কলের মাধ্যমেও একাধিকবার কথাবার্তা বলেছে। জারা দাশগুপ্ত নাম নেওয়া পাকিস্তানি এজেন্ট বিজ্ঞানীর কাথে নিজের পরিচয় দিযেছিল সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। সে আরও জানিয়েছিল, বর্তমানে ব্রিটেনে সে কর্মরত। জারা নিজের ফোন থেকে বেশ কিছু অশালীন বার্তা আর ভিডিও পাঠিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞানীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল।

তদন্তের সময় আইপি ঠিকানার সন্ধান করতেই পাকিস্তানের খোঁজ পাওয়া গেছে বলেও চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে পাকিস্তানি এজেন্ট ব্রাহ্মোস লঞ্চার, ড্রোন, ইউসিভি, অগ্নি মিসাইল লঞ্চার এবং মিলিটারি ব্রিজিং সিস্টেম, অন্যান্য জিনিসগুলির মধ্যে শ্রেণীবদ্ধ এবং সংবেদনশীল তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

চার্জশিটে বলা হয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানী কুরুলকার মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। কাজের কারণে নিজের মোবাইল ফোনে ডিআরডিওর একাধিক তথ্য সংরক্ষণ করেছিলেন। সেই সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি জারা নামে পাকিস্তানের এজেন্টের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। তিনি পাকিস্তানের এজেন্টের সঙ্গে সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল , ড্রোন, ব্রহ্মোস এবং অগ্নি মিসাইল লঞ্চার এবং ইউসিভি সহ বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে কথা বলেছেন। এটিএস এর দাবি ২০২২ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুজনের যোগাযোগ ছিল। তারপর আর কেউ কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

বিজ্ঞানীর কাজকর্ম নিয়ে সন্দেহ হয়। আর সেই কারণে বিজ্ঞানীর ডিআরডিও প্রথমে নিজেই তদন্ত শুরু করে। তারপরই কুরুলকার ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জারার নম্বর ব্লক করে দিয়েছিল। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে এই ঘটনার কিছুদিন পরেই জারা অন্য একটি ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পান। তাতে লেখা ছিল 'কেন আপনি আমার নম্বর ব্লক করেছেন?' চ্যাটের রেকর্ডগুলি থেকে প্রমাণিত হয় যে বিজ্ঞানী ব্যক্তিগত সময় যেমন মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন, তেমনই অফিসে ঢুকেও মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর অবস্থানও শেয়ার ররেছেন।