সংক্ষিপ্ত
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে জোর করে যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ নয়। ছত্তিশগড় আদালত জানিয়েছে স্বামীর বিরুদ্ধে অপ্রাকৃত যৌনতার অভিযোগের বিচার হবে।
বিবাহিত দম্পতির ক্ষেত্রে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা অপরাধ নয়। একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন ছত্তিশগড় আদালত। এই মামলায় এক পুরুষকে বেকসুর খালাসা করে দিয়েছে। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে,'বৈধভাবে বিবাহিত দম্পতির মধ্যে যদি জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয় তাহলে তাকে ধর্ষণ বলা যায় না।' তবে আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপ্রাকৃত যৌনতার অভিযোগ বহাল রেখেছে। স্ত্রীর অভিযোগ ছিল স্বামী তাঁর যৌনাঙ্গে মূলো বা আঙুল প্রবেশ করাতেন। তিনি বারন করলেও তা শুনতেন না। এই প্রাকৃত যৌনতার অভিযোগ বজায় রাখা হয়েছে।
লাইভ ল-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , এক মহিলা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচার, বধূ নির্যাতন আর হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছিল। পাশাপাশি তাঁর অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও স্বামী জোর করে অপ্রাকৃতিক শারীরিক সম্পর্কে জড়িত থাকারও অভিযোগ তুলেছিলেন। সঙ্গে প্রমাণ দাখিল করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
কাবুল বিমান বন্দরে জঙ্গি হানা, সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পরামর্শ ব্রিটেনের
'এগুলি প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তি নয়', মনিটাইজেশন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিশানায় নরেন্দ্র মোদী
ছত্তিশগড় হাইকোর্টের বিচারপতি কে চন্দ্রবংশী বলেছিলেন, একজন পুরুষ তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক বা যৌনকর্ম করতেই পারেন। তবে স্ত্রীর বয়স অবশ্যই ১৮এর বেশি হতে হবে। তাহলে তা আর ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না। সেইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, অবেদনকারী মহিলা আইনত ওই ব্যক্তির বিবাহিত স্ত্রী। তাই স্ত্রীর অনুমতি বা অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে স্বামী যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন তাহলে তা অপরাধ নয়। তা ধর্যণ বলেও গণ্য হবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ স্বামী স্ত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা সহবাস করতেই পারেন। এই অবস্থাকে কিছুতেই ধর্ষণ বলা যাবে না।
'কথা রাখেনি তালিবানরা', আফগানিস্তান নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতীয়দের নিরাপত্তায় জোর কেন্দ্রের
তারপরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর ধারা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। যদিও সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাকি অভিযোগগুলি বজায় রয়েছে। আগমী দিনে সেগুলির শুনানি হবে।