সংক্ষিপ্ত

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সকল ভারতবাসী পাবে করোনার টিকা

কিন্তু বিহারের বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের পর সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নির্বাচনী ইস্তেহারে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন বিতরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক

তীব্র সমালোচনা করলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত

 

মহামারিকালে সপ্তমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেই তা অবিলম্বে সকল ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে তাঁর সরকার। কিন্তু, তার দুদিন পরই বিহারে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন বিতরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া নিয়ে তৈরি হল তুমুল বিতর্ক। করোনা টিকার রাজনীতিকরণের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করলেন করোনা ধ্বস্ত মহারাষ্ট্রের শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত।

দিন কয়েক আগেই জানা গিয়েছিল, ভারতের কোভিড টিকা বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা ইতিমধ্যেই প্রথম টিকা কাদের দেওয়া হবে, এই রকম ৩ লক্ষ মানুষের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তার মধ্যে ছিলেন ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স কর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী, আশাকর্মীসহ মহামারির সময়ে প্রয়োজনীয় পরিষেবা দানকারীদের। কিন্তু, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে প্রথমেই রয়েছে ওই রাজ্যে বিনামূল্যে ভ্য়াকসিন বিচরণের প্রতিশ্রুতি। আর তারপর থেকেই এই বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

শুক্রবার সকালে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, আগে স্লোগান ছিল, 'তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। আর এখনকার স্লোগান হল - তোমরা আমাদের ভোট দাও, আমরা তোমাদের ভ্যাকসিন দেব'। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি যে যে রাজ্যে বিজেপির সরকার নেই, সেইসব রাজ্যের মানুষ ভ্যাকসিন পাবেন না? এই বিষয়ে তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে স্পষ্টতা দাবি করেছেন।

সঞ্জয় রাউতের অভিযোগ আগে ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করত বিজেপি। এখন সেই বিভেদ তৈরির প্রচেষ্টাই দেখা যাচ্ছে কোভিড ভ্যাকসিনের নামে। এটা মোটেই ঠিক নয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, কর্মসংস্থান বা 'রোটি-কাপড়া-মকান'-এর মতো বিষয় নির্বাচনী ইস্তেহারে উঠে আসতেই পারে। কিন্তু, বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি ইস্তেহারে তুলে এনে বিষয়টিকে রাজনৈতিক রূপ দিল বিজেপি। এতে করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।