সংক্ষিপ্ত
দিল্লি পুলিশের হাতে নতুন অস্ত্র শ্রদ্ধা ওয়াকারের হাড়ের অটোপসি রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে করাতের মত অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছিল দেহ।
শনিবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, করাত জাতীয় অস্ত্র দিয়েই কাটা হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ। এদিন দিন পুলিশ দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের হাড়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতেই পুলিশের দাবি শ্রদ্ধার দেহ করাতের মত অস্ত্র দিয়ে ৩৫টি টুকরো করা হয়েছিল। গত বছর শেষের দিকেই শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড গোটা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। শ্রদ্ধাকে তাঁর সহবাসসঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ। বর্তমানে আফতার জেলবন্দি।
১ জানুয়ারি পুলিশ জানিয়েছিল দক্ষিণ দিল্লির মেহরাউলির একটি বনাঞ্চল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছিল শ্রদ্ধার দেহের একটি টুকরো। সেই দেহের টুকরোর চুল আর হাড়ের নমুনা মিলে গিয়েছিল শ্রদ্ধার সঙ্গে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মেহরাউলির বনাঞ্চল থেকে পাওয়া নমুনাগুলির একটি মাইটোকান্ড্রিয়াল ডিএনএ ও হায়দরাবাদের ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডায়াগনস্টিক কেন্দ্রে পাঠান হয়েছে।
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলার সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে এটি অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এটি পুলিশকে আফতাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে সাহায্য করবে। কারণ এর আগে শ্রদ্ধার দেহ কাটার কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ পুলিশের হাতে ছিল না। যা নিয়ে পুলিশ যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি শ্রদ্ধার হাড়ের রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে যে তা করাত জাতীয় অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছিল।
যাইহোক এর আগে AIIMS একটি রিপোর্ট তুলে দিয়েছিল পুলিশের হাতে। সেখানেই হাড়ের নমুনার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। যার সঙ্গে এই রিপোর্ট অনেকাংশে মিলে গেছে। অন্যদিকে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলা শক্ত করার জন্য শ্রদ্ধার প্রায় ৫০-এরও বেশি বন্ধু সহ ১৬৪ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। দাখিল করা হয়েছে প্রয়োজনী তথ্য প্রমাণ।
আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। কিন্তু খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করেছিল। তা রাখার জন্য একটি ফ্রিজারও কিনেছিল। তবে শ্রদ্ধার দেহ কাটার সময় রক্তপাত হয়। সেই রক্তের দাগ পরিষ্কার করা আর প্রমান নিশ্চিহ্ন করার জন্য রাসায়নিক সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগল সার্চ করেছিল। দিল্লি পুলিশ আরও বলেছিল খুনের পর ঠান্ডা মাথায় সবকিছু পরিকল্পনা করেছিল। শ্রদ্ধাকে খুনের পর লাশ বাথরুমে রেখে দিয়েছিল। তারপর দোকানে গিয়ে ফ্রিজ কিনে এনেছিল। তারপকই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিল।
শ্রদ্ধার শেষ অবস্থান জানতে দিল্লি পুলিশ তার মোবাইল লোকেশনও ট্র্যাক করে। জানতে পারে দিল্লিতেই ছিল ১৮ মে পর্যন্ত। তারপর আর শ্রদ্ধার কোনও সন্ধান পায়নি। সবকিছু দেখেই ১০ নভেম্বর দিল্লি পুলিশ এফআইর করে। তারপরই গ্রেফতার করে আফতাবকে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বইয়ের ডেটিং অ্যাপে প্রথম পরিচয়। তারপর প্রেম। পরিবারের অমতে দুজনেই চলে আসে দিল্লি। কিন্তু বিয়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। তারপরই শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব।
আরও পড়ুনঃ
CAA-র উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘুদের ভূমিকা হ্রাস করে সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তিকে উৎসাহিত করা, বললেন অমর্ত্য সেন
ত্রিপুরার রাজনৈতিক সমীকরণে বদল, বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করবে কংগ্রেস-সিপিএম