সংক্ষিপ্ত

আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নার্কো টেস্টের অনুমতি দিয়েছে দিল্লির আদালত। পুলিশ এই পরীক্ষা করতে। সত্য জানতেই এই পরীক্ষা হবে। নার্কো পরীক্ষা সম্পর্কে রইল বিস্তারিত তথ্য।

শ্রদ্ধা ওয়াকারের প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নার্কো পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে দিল্লির আদালত। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যার কথা স্বীকার করে নিলেও পুলিশ কতগুলি বিষয় উত্তর খুঁজছে- যেগুলি নার্কো টেস্টের মাধ্যমে পাওয়া যাতে পারে বলেও মনে করছে তদন্তকারীরা। আর সেই কারণে আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কী এই নার্কো পরীক্ষা।

নার্কো টেস্টঃ

পুরো কথা হল নারকোঅ্যানালাইসিস টেস্ট।

পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

সোডিয়াম পেন্টোথাল নামের একটি ড্রাগ অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করান হবে। এই ওষুধের কারণে কিছুটা হলেও সম্মহনী বা অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাবে অভিযুক্ত। এই অবস্থায় অভিযুক্ত মিথ্যা কথা বলতে পারবে না। আফতাব পুলিশের জেরায় সত্য কথা বলবে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সোডিয়াম পেন্টোথাল- এই একটি ওষুধ- যার মাধ্যমে যে কোনও মানুষকে দ্রুত অজ্ঞান করে দেওয়া হয়। এটি সাধারণত অপারেশনের সময় রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয়। এটি বারবিটুরেট শ্রেণীর ওষুধ। যা স্নায়ুতন্ত্রকে অবসন্ন করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে অভিযুক্ত কখনই মিথ্যা কথা বলার মত অবস্থায় থাকে না। তবে অনেকক্ষেত্রে এই পরীক্ষা সত্ত্বেও অভিযুত্ত মিথ্যা কথা বলতে পারে।

পলিগ্রাফিক টেস্টের সঙ্গে পার্থক্যঃ

এটির সঙ্গে পলিগ্রাফিক টেস্টের কোনও মিল নেই। কারণ পলিগ্রাফিক টেস্ট তখনই হয় যখন এক ব্যক্তি মিথ্যা কথা বললে তার শরীরে নানাধরনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তা দেখে অনুমান করা হয় ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলছে। এই পরীক্ষায় অভিযুক্তের ওপর কোনও ওষুধ ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয় না। মূলত হার্টবিট, প্রেসার, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি, ঘাম হচ্ছে কিনা - এগুলি পরীক্ষা করা হয়।

এই ধরনের পরীক্ষার যৌক্তিকতাঃ

মূলত অভিযুক্তের কাছ থেকে সত্যি কথা বার করার জন্য এজাতীয় পরীক্ষাগুলি করা হয়। এজাতীয় পরীক্ষাগুলিকে থার্ড ডিগ্রি হিসেবেও দেখা হয়। এগুলি মানসিক অত্যাচারের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু এজাতীয় কোনও পরীক্ষাই ১০০ শতাংশ সফল হয় না। বর্তমানে এজাতীয় পরীক্ষার ওপর আইনগত কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মূলত ব্যক্তির ব্যক্তিগত পরিসরে প্রবেশ না করার জন্য।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আফতাব আমিন পুনাওয়ালা- এখনও পর্যন্ত দিল্লি পুলিশের কাছে অনেক কিছুই স্বীকার করেছে। খুনের কথা ও খুনের পদ্ধতির কথাও সে স্বীকার করেছে। কিন্তু আফতাদের স্বিকারোক্তির সঙ্গে মেলে না, এমন অনেক তথ্য পুলিশের হাতে রয়েছে। যগুলি খতিয়ে দেখতে চায়। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে হিমাচল প্রদেশও নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এদিনও আদালতের বাইরে আফতাদের ফাঁসির দাবি জানায় ক্ষুব্ধ জনতা।

আরও পড়ুনঃ

'খুনি প্রেমিক' আফতাবের নার্কো টেস্টের অনুমতি আদালতের, বাড়ানো হল পুলিশ হেফাজতের দিন

শ্রদ্ধার রক্তের দাগ ধুতেই কি ৩০০ টাকার অতিরিক্ত জল কিনেছিল আফতাব? জলের বিল নিয়ে তদন্ত দিল্লি পুলিশের

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, উদ্ধার একটি আধ-পচা কাটা মাথা ও হাতের অংশ