সংক্ষিপ্ত
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায়েই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় আবারও আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠে এই মামলা। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের ক্ষমতার ওপর হস্তক্ষেপ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দ্বিতীয়বার নিয়োগ করা হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায়েই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় আবারও আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠে এই মামলা। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের ক্ষমতার ওপর হস্তক্ষেপ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দ্বিতীয়বার নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে যে রায় হাইকোর্ট দিয়েছিল তাই বহাল রাখা হচ্ছে। যার আর্থ সোনালির দ্বিতীয়বার নিয়োগ অবৈধ হিসেবেই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছেন, কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সর্বতোভাবে ঠিক ছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালটের আইনে যে সমস্যার অপসারণের ধারা রয়েছে তার অপব্যবহার করেই রাজ্য সরকার নিয়োগ করেছে। সেক্ষেত্র রাজ্যপালের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল।
সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপাচার্য পজে পুনর্বহাল করেছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবি অনিন্দ্য সুন্দর দাস। সেই মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয় সোনালিকে দ্বিতীয়বার উপাচার্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে আদালত সোনালিকে উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এরপরই রাজ্যের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
সোনালির প্রথম মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০২১ সালের ২৭ অগাস্ট। তারপরই তাঁকে পুনর্নিয়োগ করা হয়। প্রথমে রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব যায়। রাজ্যপাল প্রশাসনের কাছে কয়েকটি ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। কিন্তু তার উত্তর দেয়নি নবান্ন। তারপরই সোনালি চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ করা হয়। কিন্তু সেই মামলাতেই হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য ।
জগদীপ ধনখড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকার সময়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ নিয়ে নবান্ন ও রাজভবনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। সেই সময়ই একটি বিল পাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসন। সেই সময়ই সোনালিকে দ্বিতীয়বার নিয়োগ করা হয়েছিল।
বালাসাহেব ঠাকরের প্রকৃত উত্তরাধিকারী কে? উত্তর না মেলায় দুই গোষ্ঠীকেই অন্তবর্তী চিহ্ন আর নাম কমিশনের
জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত 'জুম', জানুন ভারতীয় সেনা বাহিনীর সারমের লড়াইয়ের কথা
Breaking News: বর্বরতার সীমা ছাড়াল তন্ত্রসাধনা, পুজোর অঙ্গ কেরলের দুই মহিলাকে নরবলি