সংক্ষিপ্ত

  • হিন্দি দিবসে অমিত শাহ বলেছেন হিন্দি ভাষাই ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে
  • তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ উঠল দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে
  • সব রাজনৈতিক দলেরই বক্তব্য হিন্দি ভারতের একটি আঞ্চলিক ভাষামাত্র
  • এমনকী বিজেপির সঙ্গী এআইএডিএমকে ও পিএমকে দলও হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ছিল হিন্দি দিবস। তারই এক অনুষ্ঠানে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বাভারতীয় সভাপতি অমিত সাহ বলেছেন, 'হিন্দিই একমাত্র ভাষা, যা সারা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে'। কিন্তু, তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ উঠল দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। বিরোধী দলগুলি তো বটেই এমনকী বিজেপির দক্ষিণী সঙ্গী এআইএডিএমকে দলও অমিতের এই ফর্মুলা মানবে না বলেই জানিয়েছে।

শনিবারই প্রথম প্রতিবাদ আসে ডিএমকে নেতা এমকে স্টালিনের পক্ষ থেকে। তিনি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এবং জানিয়েছেন এই রাস্তায় হাঁটলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে। কর্নাটক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে 'মিথ্যা প্রোপাগান্ডা'। আর তেলেঙ্গানায় অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দল বলেছে বিজেপির মনে রাখা উচিত, 'ভারত হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুত্বের থেকে বড় কিছু'।

কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী প্রশ্ন তুলেছএন হিন্দি দিবস পালন নিয়েই। তাঁর বক্তব্য হিন্দির মতো কানা়ডাও ভারতের সংবিধান স্বীকৃত সরকারি ভাষা। তাই শুধু হিন্দি দিবস কেন পালন করা হবে, কেন কানাড়া দিবস পালন করা হবে না? কর্নাটকের কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা সিদ্দারামাইয়ার অভিযোগ ঐক্য়ের নামে অহিন্দিভাষীদের উপর হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বলাটাও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা বলেছেন সিদ্দারামাইয়া।

তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা এসেছে  তামিলনাড়ু থেকেই। চেন্নাইতে শনিবারই এম কে স্টালিন বলেছেন, কেন্দ্র যদি এই পছে হাঁটে, তাহলে ডিএমকে একটি সর্বদল বৈঠক ডেকে দেশজুড়ে তার বিরোধিতা করবে। এডিএমকে প্রধান ভাইকো বলেছেন, এভাবে চললে শুধু হিন্দি রাজ্যগুলিই ভারতের সঙ্গে থাকবে। বিরোধিতা করেছে দুই এনডিএ শরিক এআইডিএমকে ও পিএমকে দলও। এআইডিএমকে নেতা ডি জয়কুমার মনে করিয়ে দিয়েছেন ১৯৬৫ সালে হিন্দি চাপিয়ে দিতে গিয়েই এই রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। আর পিএমকে-র এস রামাডস বলেছেন হিন্দি দিবসে হিন্দি নিয়ে অমিত শাহ বড় বড় ব্কতৃতা দিতেই পারেন। কিন্তু শুধু হিন্দি দিয়ে ভারতকে বিশ্বের দরবারে পোঁছে দেওয়া যাবে না।  

এই অবস্থায় চাপে পড়ে বিজেপি নেতা বানাতি শ্রীনিবাসন বলেছেন, অমিত যা বলেছেন, তা মহাত্মনা গান্ধী ও আরও বেশ কয়েকজন প্রাক্তন জাতীয় নেতার ভাবনারই প্রতিফলন।