সংক্ষিপ্ত

মুসলমানদের কবরের উপরেই কি রামমন্দির তৈরি হবে?

প্রশ্ন তুললেন অযোধ্যারই কিছু মুসলমান।

ট্রাস্টের সদস্যদের চিঠি পাঠালেন তারা।

জেলা প্রশাসন অবশ্য অন্য কথা বলছে।

 

মুসলমানদের কবরের উপরেই কি রামমন্দির তৈরি হবে? গুরুতর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন অযোধ্যারই মুসলমান সম্প্রদায়ের একদল মানুষ। সুপ্রিম কোর্টের এক বিশিষ্ট আইনজীবী তাদের পক্ষে রাম মন্দির ট্রাস্টকে চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন, ভেঙে দেওয়া বাবরি মসজিদের আশেপাশের পাঁচ একর জমিতে মসলমানদের কবরস্থান আছে। 'সনাতন ধর্ম' রক্ষার জন্য রামমন্দির নির্মাণের সময় সেই জমিটুকু ছেড়ে দিতে হবে। তবে মঙ্গলবার অযোধ্যা জেলা প্রশাসন অবশ্য দাবি করেছে রাম মন্দিরের জমিতে কোনও কবরস্থান নেই।

শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র বা রামমন্দির ট্রাস্টের ১০ স্থায়ী সদস্যকেই এই চিঠি পাঠিয়েছেন আইনজীবী এমআর শামশদ। সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, বাবরি মসজিদের পাশে ৫ একর জমিতে 'গঞ্জ শহিদান' নামে একটি কবরস্থান আছে। ১৮৫ সালে অযোধ্যার দাঙ্গায়য় হত ৭৫ জনের দেহ সেখানে দাফন করা হয়েছিল। ফৈজাবাদ গেজেটিয়ার-এও তার উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছেন শামশদ।

তাঁর দাবি রাম মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দান করার সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার এই কবরস্থানের কথা বিবেচনা করেনি। মুসলমানদের কবরের উপর রাম মমন্দির নির্মাণ সনাতন হিন্দু ধর্মের লঙ্ঘন বলে দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে। 'ভগবান রামের প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা' জানিয়ে ওই ৪ থেকে ৫ একর জমি রাম মন্দির তৈরির সময় বাদ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

তবে, মঙ্গলবার, অযোধ্যার জেলাশাসক অনুজ ঝা বলেছেন, রাম জন্মভূমির জন্ম যে ৬৭ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে কোনও কবরস্থান নেই। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে আলোচিতও হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আদালতের রায়েও তার বিবরণও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই আদেশ মেনেই জমি কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।