সংক্ষিপ্ত

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকারের স্বস্তি। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরিতে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা যায় না।

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের চাকরি বাতিল এবং সুপারনিউমেরারি (অতিরিক্ত) পদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় স্বস্তি পেল সরকার। নিয়োগ দুর্নীতিতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরিতে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত নয়, জানিয়ে দিল আদালত।

এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামো চালু রাখাতে গেলে যা যা প্রশাসনিক সমস্যা হবে সে বিষয় উল্লেখ করা হয় প্রধান বিচারপতি এজলাসে। এরপর অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি জানান, ‘কনস্টিটিউশনে উল্লেখ করা রয়েছে, কাউন্সিল অফ মিনিস্টার্সদের দ্বারা নেওয়া সিদ্ধান্ত যার উপর রাজ্যপালের শীলমোহর রয়েছে, তার ওপর কোনও কোর্ট তদন্ত হতে পারে না।’ বিচারপতি বলেন, ‘আমরা অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপার নিউমোরারি পোস্ট নিয়ে সিবিআই তদন্তের বিষয় খারিজ করছি।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা নিয়ে সিবিআই তদন্ত হবে কি না সেটা ৩ এপ্রিল উল্লেখ করেছিলাম। এটা গ্রহণ করা হচ্ছে। রিট পিটিশনে উল্লেখ করা ছিল ২০২২ সালে যে ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার পর ১৯.৫.২২ যে একটি নির্দেশ জরি করা হয়েছিল, তার ওপর সিবিআই তদন্ত হবে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। ৫.৫.২২ সালে ক্যাবিনেটের নোটে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছিল এসএসসির মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা মনে করছি হাইকোর্ট জাস্টিফায়েড ছিল না সুপার নিউমোরারি পোস্ট তৈরি করা নিয়ে সিবিআই তদন্ত দেওয়ার ব্যাপারে।’

এদিন প্রধান বিচারপতি আরও বলেন যে, মেনশনিং প্রক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি মানা হচ্ছে না। সিজেআই সঞ্জীব খান্না বলেন, আমরা সাধারণভাবে ক্যাবিনেট সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করি না। ক্যাবিনেট যদি মনে করে থাকে, কোনও মেরিট দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাতে আমরা খুব একটা হস্তক্ষেপ করতে রাজি নই। কারণ ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারপর রাজ্যপাল তার ওপর নিজের শীলমোহর দিয়েছে।