সংক্ষিপ্ত
পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির জীবনাবসান। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত 'স্টিল ম্যান'। সোমবার রাতে জামশেদপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতের ইস্পাত মানব পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানি। টাটা গ্রুপের এককালের একাধিক কোম্পানির পরিচালকের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত টাটা গোষ্ঠি-সহ গোটা দেশ। সোমবার রাতেই টাটা স্টিল তার অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে টুইট করে এই সংবাদ জানিয়েছেন। টাটা গ্রুপের তরফ থেকে জানানো হয়েছে শোকবার্তাও।
সোমবার রাতেই শেষ হল এক বর্ণময় অধ্যায়। পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির জীবনাবসান। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে টাটা গ্রুপের একধিক কোম্পানির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ভারতের 'স্টিল ম্যান' হিসেবেই পরিচিত ডঃ জে জে ইরানি। পেয়েছেন পদ্মভূষণ পুরস্কারও। ডঃ জে জে ইরানির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করা হয়েছে টাটা স্টিল তার অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে। টুইটে লেকাহ হয়েছে, "পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ভারতের 'স্টিল ম্যান' হিসেব পরিচিত তিনি। টাটা স্টিল পরিবার তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।"
সালটা ১৯৬২ ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে শুরু পেশাগত জীবন। ছ'বছরের মধ্যেই দেশে ফিরে আসেন ডঃ ইরানি। ১৯৬৮ সালে ডিরেক্টর-ইন-চার্জের সহকারী হিসেবে যোগ দেন টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানিতে (বর্তমানে টাটা স্টিল নামে পরিচিত)। সেই থেকে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে যাত্রা শুরু পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৩৩ বছর। টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্রমেই জড়িয়ে গিয়েছে ডঃ ইরানির নাম। ডঃ জামশেদ জে ইরানি থেকে হয়ে উঠেছেন 'ভারতের স্টিল ম্যান'। পেয়েছেন পদ্মভূষণ পুরস্কারও। ইতিহাস সাক্ষী থেকেছে তাঁর বর্ণময় যাত্রার।
১৯৭৮ সালে টাটার সংস্থায় জেনারেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছরই ফের পদোন্নতি। ১৯৭৯ একই সংস্থায় জেনারেল ম্যানেজারের পদ গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮৫ টাটা স্টিল-এর প্রেসিডেন্ট হন জে জে ইরানি। এরপর ১৯৮৮ টাটা স্টিলে জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন। ১৯৯২ টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে উন্নতি। অবশেষে ২০১১ সালে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসর নেন তিনি। ১৯৯৮ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নাইটহুড সম্মানে সম্মানিত করেন তাঁকে। পরে ভারত সরকারের কাছ থেকে মিলেছে পদ্মভূষণ সম্মান।