সংক্ষিপ্ত

দিল্লির ভোটে বিজেপির পাখির চোখ হয়ে উঠেছে শাহিনবাগ।

কোলের শিশকে কবর দিয়েও মা ফিরে আসছেন প্রতিবাদস্থলে।

সেই শাহিনবাগেই নাকি আত্মঘাতি বোমারু জঙ্গিদের বড় করা হচ্ছে।

এমনই অংসবেদনশীল মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 

আছেন সাহসী দাদিরা, যোগ দিয়েছেন পঞ্জাব হরিয়ানা থেকে আসা কৃষক পরিবারের গৃহবধূরাও, ঠান্ডায় মর যাচ্ছে, কেলোর শিশু, তাকে দাফন করে ফের প্রতিবাদস্থলে ফির আসছেন মা - এমনই আশ্চর্য প্রতিরোধের মহামিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে দিল্লির শাহিনবাগ। অথচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি সেই শাহিনবাগই নাকি 'সুইসাইড বম্বার (আত্মঘাতি বোমারু জঙ্গি)-দের আঁতুরঘর'।

বৃহস্পতিবার, একটি টুইট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিহারের বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং বলেন, 'শাহিনবাগ আত্মঘাতী বোমারু জঙ্গীদের আতুরঘর হয়ে উঠেছে, দেশের রাজধানীতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে'। এরসঙ্গে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে একদল বোরখা পরা মহিলা-কে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শোনা যাচ্ছে। লাউড স্পিকারে এক মহিলাকেও জ্বালাময়ী ভাষণ দিতেও শোনা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

তবে, শুধু গিরিরাজই নন, দিল্লি ভোটের আগে মেরুকরণ করতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের আক্রমণের মূল লক্ষ্যই হয়ে উঠেছে শাহিনবাগ। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও খোলাখুলি শাহিনবাগ আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। এমনকী গতকাল, লোকসভায় বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য বলেন, দিল্লির শাহিনবাগে যা ঘটছে তাতে, দেশের বেশিরভাগ মানুষ সজাগ না হলে, দেশপ্রেমিক ভারতীয়রা এর বিরোধিতা না করলে মুঘলরাজ ফিরে আসবে।

শাহিনবাগে আন্দোলন, মহিলাদের অবস্থান বিক্ষোভ ৫০ দিন ছাড়িয়েছে। মাত্র দিন দুই আগেই আন্দোলনস্থলে উপস্থিত এক মহিলার চার মাসের শিশু সন্তানের ঠান্ডায় মৃত্যু হয়। কিন্তু তারপরেও সেই মা-কে প্রতিবাদের পথ থেকে সরানো যায়নি। তিনি ফের ফিরে এসেছেন শাহিনবাগে। জানিয়েছেন সরকার সর্বনাশা সিএএ আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এই কি আত্মঘাতি জঙ্গিদের পরিচয়?