সংক্ষিপ্ত
আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকেও এই বিষয়ে তার পাল্টা হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সম্বলিত ফাইলগুলি চ্যানেলে প্রকাশ করা যেতে পারে কি না এই বিষয়ে, আদালত বলেছে যে এই বিষয়ে এখনও আলোচনা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মালয়ালম নিউজ চ্যানেল (Malayalam news channel), মিডিয়াওয়ানকে (MediaOne) অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তি (interim relief) দিয়েছে। এদিন চ্যানেলের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ এসে চ্যানেলকে বেশ কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud), সূর্য কান্ত (Surya Kant) এবং বিক্রম নাথের (Vikram Nath) একটি বেঞ্চ (Bench of Justices) আদেশ দিয়েছে যে চ্যানেলটি নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স প্রত্যাহার করার আগে যেভাবে সম্প্রচার করছিল, সেইভাবেই কাজ করবে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে "আমরা আদেশ দিচ্ছি যে মধ্যমান ব্রডকাস্টিং লিমিটেডের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করার কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশ স্থগিত রয়েছে। পিটিশনকারীকে মিডিয়াওয়ান চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক। এই চ্যানেল সেইভাবেই কাজ করবে, যেভাবে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করার আগে করত।"
আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকেও এই বিষয়ে তার পাল্টা হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সম্বলিত ফাইলগুলি চ্যানেলে প্রকাশ করা যেতে পারে কি না এই বিষয়ে, আদালত বলেছে যে এই বিষয়ে এখনও আলোচনা প্রয়োজন। তাই মামলা চলবে। চ্যানেলের পক্ষ থেকে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কাউন্সেল দুশ্যন্ত দাভ। তিনি এদিন বলেন যে চ্যানেলটি ১১ বছর ধরে কাজ করেছে।
দুশ্যন্ত যে তথ্য জমা দেন, তাতে বলা হয় "চ্যানেলের লাইসেন্সটি দশ বছরের জন্য ছিল। চ্যানেলের প্রকৃত মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস পরেও, সম্প্রচার বন্ধ করার কোনও নির্দেশ তো আসেইনি, বরং সম্প্রচার চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের জন্য ডাউনলিংক করার অনুমতি দেওয়া হয় চ্যানেলকে।"
তিনি আরও দাবি করেন যে লাইসেন্স রিনিউ করার জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্রের প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন কোনও মিডিয়া, প্রকাশনা বা চ্যানেল স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না, যদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়। আগামীকাল সবাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার কীভাবে রেকর্ড তৈরি করতে অস্বীকার করতে পারে এবং বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে পারে। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের মালিকানাধীন বলে এই চ্যানেলটি বন্ধ করা হচ্ছে,"।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) কে এম নটরাজ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে বলেন যে কেরালা হাইকোর্টের একক-বিচারকের সিদ্ধান্তের পরে চ্যানেলটি বন্ধ করে দেওয়ার পরে, এটি একটি ইউটিউব চ্যানেল হিসাবে উপস্থিত হয়েছিল এবং বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণে জড়িত ছিল। প্রধান বিচারপতি এস মণিকুমার এবং বিচারপতি শাজি পি চালির একটি ডিভিশন বেঞ্চ একটি একক বিচারকের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।