সুপ্রিম কোর্টের করিডরে কাচের দেওয়াল নিয়ে বিতর্ক। প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড়ের সিদ্ধান্ত বদলে CJI গাভাই কাচের দেওয়াল সরালেন। কাচের দেওয়াল বসাতে ও সরাতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ।

এবার বিতর্ক খোদ সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের সজ্জা নিয়ে তৈরি হল জটিলতা। খোলা করিডরে কাচের দেওয়াল বসিয়েছিলেন একজন। আবার অন্যজন তা তুলে দিলেন। এই করতে গিয়ে খরচ হল মোটা টাকা। আদালতের করিডরে কাচর দেওয়াল বলাতে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। আর তা তুলতে খরচ হল ৮ লক্ষ টাকা।

২০২২ সালের ঘটনা। ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর, দু বছর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন প্রাক্তন CJI ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই সময় আদালতের প্রথম পাঁচটি কর্ষের সামনে থাকা খোলা করিডরে কাচের দেওয়াল তোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের পরিবেশকে আরামদায়ক করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই মতো দেওয়াল বসে। দেওয়াল থাকলে সেন্ট্রালাইজড এসি বসানোও সম্ভব। এমন কথাও ছিল।

এই প্রস্তাবের গোড়াতেই আপত্তি তোলে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং সুুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেটস-অন-রেকর্ড অ্যাসোসিয়েশন। কাচের দেওয়াল বসাতে গিয়ে করিডর আরও সরু হয়ে গিয়েছে, সেখানে চলাফেরাও সমস্যা হচ্ছে বলে জানানো হয়। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কোনও রকম শলা পরামর্শ করা হয়নি বলে অভিযোগ।

Scroll to load tweet…

এরপর CJI সঞ্জীব খন্নার কাছে আবেদন জনা পড়ে। কাচের দেওয়ালে সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা ও ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে মনে করা হয়। মাত্র ৬ মাসের কার্যকালে CJI সঞ্জীব খন্না সেই সময় কোনও সিদ্ধান্ন নেননি। তবে, চলতি বছরের মে মাসে প্রধান বিচরপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেই CJI বিআর গাভাই ওই কাচের দেওযাল সরানোর কাজে হাত দেন।

খরচের যে হিসেব মিলিছে তাতে দেখা গিয়েছে মোট ২ কোটি ৫৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৩০ টাকা খরচ হয়েছিল। আর তা সরাতে খরচ হয়েছে ৮ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৩০ টাকা বলে জানা যাচ্ছে।