সংক্ষিপ্ত

দীর্ঘ ১৫ মাস পরে তিহার জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। আর্থিক তছরুপ মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে।

দীর্ঘ ১৫ মাস পরে তিহার জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। আর্থিক তছরুপ মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে বুধবার। গত বছর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করেছিল সুকন্যাকে। তারপর থেকেই তাঁর ঠাঁই হয় তিহার জেলে। তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডলও রয়েছেন তিহার জেলে।

২০২২ সালে আগস্টে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পরে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় ইডি। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর গ্রেফতার করা হয় সুকন্যাকে। সেই থেকেই তাঁর ঠিকানা ছিল তিহার জেল।

ইডির দাবি ছিল,অনুব্রত মণ্ডলের বিপুর পরিমাণ বেআইনি সম্পত্তির হিসেব জানেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা। কিন্তু তদন্তে ইডির সহযোগিতা করছেন না। তিনি সব প্রশ্নের সদুত্তর দিচ্ছেন না। সুকন্যা জানিয়েছেন, সম্পত্তি সংক্রান্ত হিসেব নিকেশ তাঁর বাবা ও মণীষ কোঠারির দিতে পারবেন। অনুব্রত -সুকান্যাকে পাশে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে ইডি। তারপরই তিহার জেলে রয়েছেন সুকন্যা। জেল থেকেই সুকন্যা জামিনের আবেদন জানান। শেষপর্যন্ত দিল্লি আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।

সুকন্যার জেল মুক্তির খবরে খুশির হাওয়া বীরভূমে। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, এবার তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি অনুব্রত মণ্ডলের মুক্তির আশা করেছে। চলতি মাসেই অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলার শুনানি রয়েছে। কয়লা পাচার, গরু পাচার, আর্থিক তছরুপ -সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে।

২০২২ সালে থেকেই জেল বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে রাজ্যে রাখা হয়েছিল। তারপরই নিয়ে যাওয়া হয় তিহার জেলে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যান্ত ঘনিষ্ট আর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত অনুব্রতে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের মত দল থেকে ছেঁটে ফেলেননি। রেখে দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদে। কিন্তু তারপরেই বীরভূমে বর্তমানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাঁর প্রতিপক্ষ কাজল শেখ। দলের অনেক দায়িত্ব পেয়েছেন। যদিও তাঁর রাশ ধরে রেখেছেন মমতা। একাধিকবার কালীঘাটে ডেকে ধমকও দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও অনুব্রতর শূন্যস্থান পুরণে রীতমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কাজল। এই অবস্থায় বীরভূমে লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেলে কাজল আরও বাড়বে বলেও তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের অনুমান। বিশেষ করে অনুব্রত ঘনিষ্টদের অনুমান। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ মনে করছে নিজের দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকেও জেলে বলে সতর্ক করলেন মমতার প্রতি কেষ্ট।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।