- Home
- India News
- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্থা রুখতে কড়া পদক্ষেপ, লাগাম টানতে এবার আসরে সুপ্রিম কোর্ট
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্থা রুখতে কড়া পদক্ষেপ, লাগাম টানতে এবার আসরে সুপ্রিম কোর্ট
কলেজের ক্যাম্পাস হোক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়। যৌন হেনস্থা, র্যাগিং, বৈষম্যের মতন ঘটনায় কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। এরফলে ঘটছে আত্মহত্যার মতন ঘটনাও। এবার এই বিষয়ে লাগাম টানতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলো সুপ্রিম কোর্ট। বিস্তারিত জানতে পুরো প্রতিবে
- FB
- TW
- Linkdin
)
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হেনস্থা রুখতে কড়া সুপ্রিম কোর্ট
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিন দিন বাড়ছে যৌন হেনস্থা, র্যাগিং, বৈষম্যের মতন ঘটনা। এই সমস্ত কিছু সহ্য করতে না পেরে অনেক পড়ুয়া আবার আত্মহত্যার মতোন চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে এবার আসরে নামল Supreme Court । কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন আদালত
এবার থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের যে কোনও প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের সুরক্ষিত রাখতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিলো দেশের শীর্ষ আদালত। এবার থেকে পড়ুয়াদের শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই টাস্ক ফোর্স।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টের
যে কোনও পড়ুয়ারই কলেজ--বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকার অধিকার রয়েছে। তাঁদের এই অধিকার যাতে বঞ্চিত না হয় তার জন্য এবার সুপ্রিম কোর্টেরই প্রাক্তন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্টের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স গড়ে দিলো আদালত।
চার মাসের মধ্যে টাস্ক ফোর্সকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ
দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও পর্যন্ত কতগুলি যৌন হেনস্থা, র্যাগিং এবং আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট চার মাসের মধ্যে টাস্ক ফোর্সকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় নতুন নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবিত বা গড়ে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের নির্দেশেই এবার থেকে পড়ুয়াদের সুরক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে। বিশেষ করে কলেজে, বিশ্ববিদ্য়ালয়ে র্যাগিং বন্ধ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
আইআইটি দিল্লিতে পড়ুুয়ার মৃত্যু
২০২৩ সালে আইআইটি দিল্লির হোস্টেলে দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ সামনে এসেছে। সারা দেশে তোলপাড় পড়ে যায় এই ঘটনা।
আইআইটি দিল্লি মামলার নিষ্পত্তি
২০২৩ সালের ওই ঘটনায় তদন্ত করে কেসের চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে পেশও করা হয়েছিল আদালতে। তার পরেও মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
নতুন করে মামলার দাবি পরিবারের
২০২৩ সালে আইআইটি দিল্লিতে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতে ফের মামলা দায়ের করেন ওই দুই আত্মঘাতী পড়ুয়ার পরিবার। সেই মামলার শুনানিতে এদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হেনস্থা রুখতে টাস্ক ফোর্স গঠন করে নজরদাড়ির নির্দেশ দেয় আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বিগত দুই মাসে দেশের বিভিন্ন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যতগুলি হিংসা, আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। কারণ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলে। প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে যায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হেনস্থার ঘটনায় পুলিশের FIR দায়ের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনও পড়ুয়া যদি মানসিক ও শারীরিক ভাবে হেনস্থার শিকার হন এবং ওই পড়ুয়ার মা-বাবা যদি তা পুলিশকে জানায় তাহলে পুলিশের কর্তব্য এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্ত করা। জানিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট।