সংক্ষিপ্ত
২০১৫ সালের কেরল বিধানসভা ভাঙচুর মামলায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, বিধানসভা ভাঙচুর কোনও বিধায়কের কাজের আওতায় পড়ে না।
২০১৫ সালের কেরল বিধানসভা ভাঙচুর মামলায় রাজ্য সরকারের ওপর নিজের ক্ষোভ উগরে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, বিধানসভা ভাঙচুর কোনও বিধায়কের কাজের আওতায় পড়ে না। বাক স্বাধীনতার অংশ নয় এই ধরণের কাজ। তাই এদিন সুপ্রিম কোর্ট সিপিআই (এম) নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে। উল্লেখ্য, এই নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়েছিল কেরল সরকারের তরফে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫ সালে কেরল রাজ্য বিধানসভায় ভাঙচুরের অভিযোগে শীর্ষস্থানীয় সিপিআই(এম) নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। এইসব বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিধানসভা ভাঙচুরের প্রত্যক্ষ প্রমাণ রয়েছে বলে জানান শীর্ষ আদালত। কেরলের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল, যা তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল ছিল, সেই সিপিআই(এম)-এর বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদনকে খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ছয় অভিযুক্ত, যার মধ্যে কেরলের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ভি. শিবনকুট্টি রয়েছেন, তাঁদের ট্রায়ালে থাকতে হবে। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও এম.আর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আইন সকলের জন্য সমান। কোনও নির্দিষ্ট পদ বিশেষ সুবিধা কখনই পাবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৩ই মার্চ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন নিন্দনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৎকালীন বিরোধী বিধায়করা তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কে এম মণিকে রাজ্য বাজেট পেশে বাধা দেওয়া চেষ্টা করে। অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। পোডিয়াম থেকে স্পিকারের চেয়ারটি উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রিসাইডিং অফিসারের ডেস্কে কম্পিউটার, কী বোর্ড এবং মাইকের মতো বৈদ্যুতিন সরঞ্জামগুলিও এলডিএফ সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।