সংক্ষিপ্ত

কয়লা পাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ। ইডির দিল্লিতে তলবের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

কয়লা পাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল এই মামলায় তারা হস্তক্ষেপ করবে না। অভিষেকের আবেদন খারিজ করে করেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ।

রাজ্যের কয়লা পাচার দুর্নীতির মামলায় এর আগেও একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। পাল্টা ইডির দিল্লিতে তলবকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্ট মামলা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক। দিল্লি হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর অভিষেক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও তাঁকে ধাক্কা খেতে হল।

গত ১৩ অগাস্ট এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। রায়দান স্থগিত রেখেছিল সর্বোচ্চ আদালত। এদিন রায় দেয় শীর্ষ আদালত। এই নির্দেশের ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তাঁর স্ত্রীকে তদন্তের প্রয়োজনে দিল্লিতে তলব করতে পারবে ইডি। ২০১০ সালে ২৭ নভেম্বর কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক ও তাঁর তাঁর স্ত্রী রুজিরার বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। এফআইআরে নাম ছিল আরও অনেকের। অভিযোগ, কয়লাকাণ্ডে ১৩০০ কোটি টাকা বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এই ঘটনায় ২০২১ সালের ১৬ মার্চ বিকাশ মিশ্র গ্রেফতার হন। একই বছরের ৩ এপ্রিল গ্রেফতার হন বাঁকুড়া থানার ওসি অশোক মিশ্র। এঁদের মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে ইডির কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। এর পর থেকে অভিষেক এবং রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। দু’জনকে যখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ইডির আধিকারিকেরা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও অভিষেকের রক্ষাকবচ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এ বার সেই নির্দেশই ফেরাল শীর্ষ আদালত।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।