সংক্ষিপ্ত
সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনাতিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ২০১৬ সালের এসএসসি তে ২৬ হাজারের যে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
Supreme Court SSC Verdict: ২০১৬ সালের এসএসসি-তে ২৬ হাজারের যে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে চাকরি বাতিল হল না সোমা দাস নামের এক স্কুল শিক্ষিকার।
জানা গিয়েছে, সোমা দাস নামের ওই স্কুল শিক্ষিকা ক্যানসার আক্রান্ত। তাই মানবিক দিকটা খতিয়ে দেখে বিশেষভাবে সক্ষম চাকরিপ্রার্থী সোমা দাসের চাকরি বহাল থাকছে। এছাড়া যে সমস্ত দৃষ্টিহীন চাকরি প্রাপক ছিলেন তাদের চাকরিও বহাল থাকবে বলে এদিন জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন সোমা দাস। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় তার নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যেই ২০১৯ সালে ক্যানসার ধরা পড়ে সোমা দাসের। সেই বছর ফেব্রুয়ারি থেকে ব্লাড ক্যানসারে ভুগছেন বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা সোমা দাস। এতকিছুর পরও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দেননি তিনি। চাকরির দাবিতে রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অসুস্থ সোমা দিনের পর দিন শহরের রাজপথে ধর্নায় সামিল হয়েছেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গেলেও কেবলমাত্র বহাল থাকল বীরভূমের সোমা দাসের চাকরি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগে কোনও স্বচ্ছতা নেই। পুরো প্রক্রিয়াতেই কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০১৬-র এসএসসির নিয়োগ প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না আদালত।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনাতিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ২০১৬ সালের এসএসসি তে ২৬ হাজারের যে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। ফ্রেস সিলেকশন’ প্রসেস হবে। এই ‘ফ্রেস সিলেকশন’ প্রসেসের কাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।