Supreme court on Newborn: মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে, এবার থেকে হাসপাতালে হঠাৎ করে বাচ্চা গায়েব হয়ে গেলে তার দায় বর্তাবে হাসপাতালের উপর। এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের লাইসেন্স সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে দেওয়া হবে। জানুন আরও…   

Supreme court on Newborn: হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত চুরি গেলেই এবার থেকে বাতিল হয়ে যাবে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স (Supreme court on Newborn)। একটি মামলার শুনানিতে এ কথা জানিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court on Newborn)।

ঠিক কী জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court on Newborn):-

জানা গিয়েছে মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে, এবার থেকে হাসপাতালে হঠাৎ করে বাচ্চা গায়েব হয়ে গেলে তার দায় বর্তাবে হাসপাতালের উপর। এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের লাইসেন্স সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে দেওয়া হবে।

জানা গিয়েছে, শিশুপাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় জামিবের বিরোধিতা করে একটি আবেদনের এদিন শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়াল ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সূত্রের খবর, শিশুপাচার মামলায় অভিযুক্তদের জামিন দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে এলাহাবাদ হাইকোর্ট উদাসীনতা দেখিয়েছিল বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই সমস্ত অভিযুক্তরা সমাজের জন্য ক্ষতিকারক। তাই এদের জামিন দেওয়ার আগে হাইকোর্টের উচিত ছিলো কোনও শর্ত বেঁধে দেওয়া। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার অভিযুক্তদের থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা বলা উচিত ছিলো। কিন্তু হাইকোর্ট সে সমস্ত কিছুই করেনি। ফলে এখন অভিযুক্তদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে এই ঘটনায় উত্তর প্রদেশ সরকারও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানায় যে, এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নিজেও জানত যে বাচ্চাটি পাচার হওয়া বাচ্চা। অভিযুক্ত পুত্র সন্তানের আশায় চার লক্ষ টাকাও দিয়েছিল পাচারকারীদের।

জানা গিয়েছে, ওই মামলায় সব অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আত্মসমর্পণের পর অভিযুক্তদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে,''যে সব অভিযুক্ত পলাতক তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে নিম্ন আদালত। করতে হবে দ্রুত শুনানি।''

একই সঙ্গে এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত আরও নির্দেশ দেয় যে, দেশের কোন আদালতে কত শিশু পাচার মামলা পেন্ডিং রয়েছে তা খতিয়ে দেখে এই সমস্ত মামলার দ্রুত শুনানি শুরু করতে হবে। এই বিষয়ে কোনও নরম মনোভাব নেওয়া যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আদালত। একই সঙ্গে বিচারপতি পাদ্রিওয়াল বলেন,''কোনও হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত বাচ্চা চুরি গেলে সবার আগে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।''

উল্লেখ্য, ভারতে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার বাচ্চা পাচার হয়। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে এসেছে রিপোর্টে। এই বিষয়ে ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, এই রকম শিশুপাচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০২২ সালে ২২৫০টি মামলা দায়ের হয়েছে। আর সবথেকে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে তেলেঙ্গনা, বিহার ও মহারাষ্ট্রে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।