সংক্ষিপ্ত
- সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি
- প্রায় দেড়শোটি মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে
- নাগরিকত্ব আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতে বুধবার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় একশো চল্লিশটিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল) এবং কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দায়ের করা মামলাও। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এস আব্দুল নাজির এবং সঞ্জীব খন্নার ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।
এর মধ্যে বেশ কিছু আবেদন রয়েছে যেগুলিতে সরাসরি এই আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করার দাবি জানানো হয়েছিল। যদিও গত ৯ জানুয়ারি শীর্ষ আদালত নাগরিকত্ব আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি। আদালতের বরং পর্যবেক্ষণ ছিল যে আগে নাগরিকত্ব প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেশের মধ্যে চলতে থাকা হিংসাত্মক ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত। গত ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নাগরিকত্ব বিলকে আইনে পরিণত করায় অনুমতি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশী সন্দেহে চলল ধ্বংসলীলা, বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাতারাতি গৃহহীন ৩০০ নাগরিক
আরও পড়ুন- বিজেপি সম্পর্কে আড়ালে কী বলেন নীতিশ, ফাঁস করে দিলেন জেডিইউ শীর্ষ নেতা
আইইউএমএল তাদের আবেদনে অভিযোগ করেছে, নয়া আইন সংবিধানের মূল ভাবধারার পরিপন্থী এবং তা সরাসরি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক। কারণ এই আইনে শুধুমাত্র হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের সুবিধা দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ তাঁর দায়ের করা আবেদনে অভিযোগ করেন, নাগরিকত্ব আইন আসলে সংবিধান প্রদত্ত সমানাধিকারের উপর নির্লজ্জ আক্রমণ যা বৈষম্যকে প্রশয় দেয়। রমেশ তাঁর আবদনে দাবি করেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব প্রদান বা প্রত্যাখ্যান করা যায় কি না, তা আদালতের বিচার করে দেখা উচিত। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে যে সংশোধনি এনেছে মোদী সরকার, সেটাকেই অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা। এই সমস্ত আবেদনের পাশাপাশি আরজেডি-র মনোজ ঝা, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, এআইএমআইএম-এর আসাদউদ্দিন ওয়াসির মতো নেতারাও নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন শীর্ষ আদালতে। সেই সমস্ত আবেদনেরই আজ শুনানি হবে।