সংক্ষিপ্ত

  • বিজেপি-র সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে ক্ষোভ জেডিইউ নেতার
  • দিল্লি নির্বাচনে কেন জোট, প্রশ্ন তুলে নীতিশকে খোলা চিঠি
  • বিজেপি সম্পর্কে ব্যক্তিগত পরিসরে কী বলেন নীতিশ, ফাঁস হলো চিঠিতে
  • বেজায় অস্বস্তিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল
     

বিজেপ-র সঙ্গে কেন দিল্লি নির্বাচনে জোট বাঁধবে জেডিইউ? এই প্রশ্ন তুলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমারকে খোলা চিঠি লিখলেন দলের অন্যতম সিনিয়র নেতা পবন বর্মা। আর সেই চিঠিতেই বিজেপি সম্পর্কে নীতিশের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ্যে এনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলকে বড়সড় অস্বস্তির মুখে ফেললেন পবন। 

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র আর শরিক শিরোমণি অকালি দল জোট না গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে এই প্রথমবার বিহারের বাইরে বিজেপি-র সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতিশ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র সঙ্গে জোট করে দু'টি আসনে লড়বে নীতিশ কুমারের দল। 

নীতিশকে লেখা দু' পাতার চিঠিতে পবন বর্মা বলেছেন, দিল্লি নির্বাচনে বিজেপি-র সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার এই সিদ্ধান্তে তিনি বিভ্রান্ত এবং এর নৈতিক ব্যাখ্যা কী , তা জানার অপেক্ষায় রয়েছেন।

জেডিইউ-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সর্বভারতীয় মুখপাত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন পবন। এর আগে আর এক জেডিইউ নেতা প্রশান্ত কিশোরের মতো পবনও নিজের দলের বিপরীত অবস্থান নিয়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। 

দিল্লি নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ পবন চিঠিতে নীতিশকে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, 'আপনিই আমাদের বরাবর বুঝিয়েছেন, সবসময় সাহসের সঙ্গে নৈতিকতা বজায় রেখে এবং বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি করতে হয়।'

একই সঙ্গে বিজেপি সম্পর্কে নীতিশ ব্যক্তিগত পরিসরে কী মত পোষণ করেন, তাও চিঠিতে মনে করিয়ে দিয়েছেন পবন। যেমন তিনি লিখেছেন, 'আমার বিভ্রান্তির কারণ হলো ২০১৭ সালের পর আপনি নিজের সিদ্ধান্ত বদল করে ফের বিজেপি-র সঙ্গে হাত ধরলেও বিজেপি-কে নিয়ে আপনার মূল্যায়নে কোনও বদল ঘটেনি।'

উদাহরণ দিয়ে পবন লিখেছেন, 'যেমন আমার মনে পড়ছে যে আপনিই আমার কাছে স্বীকার করেছেন কীভাবে বিজেপি-র বর্তমান নেতৃত্ব আপনাকে বার বার হেয় করেছে। শুধু তাই নয়, আপনি এমনও বলেছেন যে বিজেপি দেশকে ভয়ঙ্কর জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ করতে গিয়ে আপনি বলেছেন যে বিজেপি দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করছে। সেই কারণে দেশের সব গণতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক শক্তিগুলির একজোট হওয়া উচিত। বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার জন্য দলের এক সিনিয়র নেতাকে আপনি দায়িত্বও দিয়েছিলেন। 

বর্মা প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপি সম্পর্কে এগুলিই যদি নীতিশের প্রকৃত মূল্যায়ন হয়, তাহলে বিহারের বাইরে কীভাবে বিজেপি-র সঙ্গে জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নীতিশ?

বিজেপি-র প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে ওই জেডিইউ নেতা লিখেছেন,'এমন একটা সময়ে এই জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো যথন নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র মধ্যে দিয়ে বিজেপি দেশের সমাজব্যবস্থাকে টুকরো টুকরো করতে চাইছে। দেশের স্থায়িত্ব, সম্প্রীতি এবং শান্তিকে পিষে দিতে চাইছে।'