সংক্ষিপ্ত

সোমবার লখিমপুর খেরি মামলার শুনানি করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ শুনানি করবে বলে খবর মিলেছে।

ফের সুপ্রিম কোর্টে লখিমপুর হিংসা মামলা। ভারতের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) এন ভি রামানার (NV Ramana) নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ (three-judge bench) সোমবার এই বিষয়ে শুনানি করবে বলে খবর মিলেছে। বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি সূর্যকান্ত (justices Surya Kant) ও বিচারপতি হিমা কোহলি(justices Hima Kohli)। 

শীর্ষ আদালত গত ২৬শে অক্টোবর এই মামলার সর্বশেষ শুনানি করেছিল। শুনানির সময়, আদালত ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন উত্তর প্রদেশ সরকারকে ঘটনার সাক্ষীদের সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে প্রশ্ন করে যে কেন এই মামলায় খুব কম সাক্ষী উপস্থিত, যখন সমাবেশে কয়েকশ কৃষক উপস্থিত ছিল। 

এই প্রশ্নের উত্তরে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী শীর্ষ আদালতকে জানান যে ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের বক্তব্য সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে রেকর্ড করা হয়েছে এবং আরও কিছু সাক্ষ্য রেকর্ড করা হবে। এর পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই মামলার বিষয়ে পৃথক স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে। 

যেহেতু এই ঘটনাটি একটি বড় রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে, সুপ্রিম কোর্ট বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে। জানায় একটি বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে শুনানি করবে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা তথ্য জানাচ্ছে, এই মামলা শুনানিতে থাকবেন প্রধান বিচারপতি রামানা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং হিমা কোহলির সমন্বয়ে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ। মামলার শীর্ষক 'In re violence in Lakhimpur Kheri (UP) leading to loss of life'। 

Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও

Modi in Approval ratings-বিশ্বনেতাদের ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদী

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয়। এই হিংসায় নিহত কৃষক লাভপ্রীত সিং-য়ের মায়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেয়। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অন্যদিকে এদিন উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। রাজ্যে সেই বিষয় নিয়েও বিস্তারিত স্টেটাস রিপোর্ট দেবে। 

উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খেরি কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কৃষকরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ডাকা অনুষ্ঠান বানচাল করে দেয়। তারপরই গাড়ি চাপা দিয়ে চার কৃষককে হত্যা করা হয়। পাল্টা কৃষকরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। গোটা ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়। কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে অশিস মিশ্রর। যদিও মন্ত্রী ও তাঁর ছেলে উভয়ই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে, কৃষকরা অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র একটি গাড়িতে বসেছিলেন। এই গাড়িটিই প্রতিবাদী কৃষকদের ওপর দিয়ে চলে যায়। যার ফলে চার কৃষকের মৃত্যু হয়।