সংক্ষিপ্ত

গত সপ্তাহে, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনাকে চিঠি দিয়ে তাকে সরাসরি শুনানি শুরু করার আবেদন জানায়। তাদের আবেদনে বলা হয় যে গত দুই সপ্তাহে দেশে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পরের সপ্তাহে (Next Week) বুধবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুরু হচ্ছে (Supreme Court To Resume) সরাসরি শুনানি (Physical Hearings)। এক নির্দেশিকা প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে দেশে করোনা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে (Covid Cases Dip)। সেই দিকে নজর রেখে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হচ্ছে সরাসরি শুনানি। গত সপ্তাহে, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনাকে চিঠি দিয়ে তাকে সরাসরি শুনানি শুরু করার আবেদন জানায়। তাদের আবেদনে বলা হয় যে গত দুই সপ্তাহে দেশে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সপ্তাহে দুদিন করে সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি শুনানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি রমনাকে দেওয়া চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন বলেছে যে নয়াদিল্লিতে করোনা পজেটিভির হার চার শতাংশের নিচে নেমে এসেছে এবং নয়াদিল্লি প্রশাসন স্কুল, কলেজ এবং জিম আবার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে, তেসরা জানুয়ারি থেকে দু সপ্তাহের (Two Weeks) জন্য ভার্চুয়াল শুনানির (Virtual hearings) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশ জুড়ে বৃদ্ধি পাওয়া করোনা সংক্রমণের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। শীর্ষ আদালত গত বছরের অক্টোবর থেকে মামলাগুলির সরাসরি শুনানি শুরু করেছিল। মহামারী করোনার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত ২০২০ সালের মার্চ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার শুনানি শুরু করে। 

একটি বিবৃতিতে, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় সরাসরি শুনানির জন্য পূর্ববর্তী একটি সার্কুলারে যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, তা আপাতত স্থগিত থাকবে। শীতকালীন ছুটি শেষে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফের খুলে যায় শীর্ষ আদালত। গত বছর ৭ই অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট একটি এসওপি জারি করে বলেছিল যে যে বিষয়গুলিতে দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন সেগুলি শারীরিক শুনানির জন্য বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আদালত বসবে। 

উল্লেখ্য, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সূচনা করলেন ইন্দ্রধনুশ ৪.০ প্রকল্প। করোনা ভাইরাসের মহামারির হাত থেকে রেহাই পেতে সর্বজনীন টিকাদানের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি বাকি টিকা কর্মসূচিগুলিকেও বাস্তবায়িত করতে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম টিকা কর্মসূচি চালু করেছে ভারত। 

তিনি আরও বলেছেন সার্বজনীন টিকাদানের লক্ষ্যে অর্জনের জন্য আরও বেশি ফোকাস ও আরও বেশি সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি জানিয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন,এখনও পর্যন্ত এই দেশে ১৭০ কোটি কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।