সংক্ষিপ্ত

বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী একজন মহিলা হাওয়ায় তিনি ধর্ষণ বিষয়ক মামলা শুনে অস্বস্তিতে পড়তে পারেন তাই সে কথা ভেবেই বিচারপতির অজয় ​​রাস্তোগির নির্দেশে মঙ্গলবার স্থগিত করা হয় বিলকিস বানো মামলার শুনানি।

ভারতবর্ষই এমন একটি দেশ যার সংবিধান ও আইন অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি নমনীয়। এখানে যেকোনো অপরাধকে অনেক বেশি গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণ করে তারপর অপরাধীর শাস্তি কি হবে সে বিষয়ে ভাবা হয়। আইনের এই নমনীয়তার প্রধান কারণ হলো ভারতবর্ষের সমাজব্যবস্থা। ভারতের আইনজ্ঞরা সবসময়ই বলেন যে ভারতের আইন তার সমাজব্যবস্থারই প্রতীকী । তাই আইনজ্ঞরা যেকোনো রায় দেওয়ার আগেই তা সমাজের সার্বিক বা বৃহত্তর উন্নতিতে কি প্রভাব ফেলবে সে বিষয়টি মাথায় রাখেন সবসময়। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা এরই জ্বলন্ত প্রমান।

বিলকিস বানো তার ১১ জন অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের। রিট পিটিশন জমা দেওয়ার পর মঙ্গলবারই ছিল তার প্রথম শুনানি।ঘটনাটির শুনানি করছিলেন বিচারপতির অজয় ​​রাস্তোগি এবং বেলা এম ত্রিবেদীর একটি বেঞ্চ। কিন্তু বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী একজন মহিলা হাওয়ায় তিনি ধর্ষণ বিষয়ক মামলা শুনে অস্বস্তিতে পড়তে পারেন তাই সে কথা ভেবেই বিচারপতির অজয় ​​রাস্তোগির নির্দেশে মঙ্গলবার স্থগিত করা হয় বিলকিস বানো মামলার শুনানি।

এই মামলা শীঘ্রই অন্য বেঞ্চে নথিভুক্ত করার আর্জি জানান বিচারপতি রাস্তোগি। তিনি বলেন এই মামলা এমন এক বেঞ্চে পাঠানো হোক যেখানে তিনি ও বিচারপতি ত্রিবেদী কেউই থাকবেন না।

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় ৫ মাসের অন্তঃসত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করেন ১১ জন। ওই আসামিদের চলতি বছরের ১৫ ই অগাস্ট মুক্তি দেয় গুজরাট হাই কোর্ট। ওই ১১ জন আসামির মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিলকিস। তিনি দাবি করেন যে সুপ্রিম কোর্টের সমস্তরকম নির্ধারিত আইন উপেক্ষা করেই রাজ্য সরকার এই যাত্রিকন আদেশ পাশ করেছে।