সংক্ষিপ্ত

ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা। কর্ণাটকে বাবাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করল ২০ বছরের যুবক। প্রমান লোপাটে দেহটি ৩২ টি টুকরো করে কুয়োয় ফেলে দেয় সে ।

শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের খুন কর্নাটকে। এবার ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা। যে হাত ধরে একসময় ছেলেকে চলতে শিখিয়েছিলেন তিনি আজ সেই হাতেই খুন হতে হলো তাকে। ভাগ্যের এই মর্মান্তিক পরিহাসের সাক্ষী থাকলো গোটা দেশ।

ঘটনার সূত্রপাত ৬ ই ডিসেম্বর। প্রতিদিনের মতো বাবা পরশুরাম কুলালি সেদিনও বাড়ি ফিরেছিলেন মদ খেয়ে। এর আগেও মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অশান্তি -ছিল তাদের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু সেদিনের সেই অশান্তি ওঠে চরমে।কথা কাটাকাটি তর্ক-বিতর্ক একসময় চরম সীমা লঙ্ঘন করলে, একটা সময় মেজাজ হারিয়ে ছেলে বিঠল লোহার রড বার করে মারধর শুরু করে তার বাবাকে। মারপিট চলে বেশ খানিক্ষন। মার্ খেতে খেতে হঠাৎই পরশুরাম টলিয়ে পরে মেঝেতে। ঘটনায় সম্বিৎ ফেরে ছেলের। ছেলে বিঠল বুঝতে পারে যে সে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে তার বাবাকে। এরপরের ঘটনা আরও মর্মান্তিক। খুনের প্রমান লোপাট করতে বাবার দেহটি ৩২ টি টুকরো করে বিঠল। সেই দেহাংশগুলি পার্শবর্তী এলাকার এক কুঁয়োতে এক এক করে ফেলে প্রমান লোপাটে তৎপর হয় বিঠল।

কর্ণাটক পুলিশ সূত্রে খবর পরশুরাম আগে তার স্ত্রী ও তার দুই পুত্রকে নিয়ে থাকতেন এক বাড়িতেই। কিন্তু প্রতিদিনের এই অশান্তি কোথাও মানতে পারছিলেন না তার স্ত্রী। তাই তিনি তার বড় ছেলেকে নিয়ে চলে যান অন্যত্র। ছোট ছেলে বিঠল থাকতেন তার বাবার সঙ্গেই। ২০ বছর বয়সী বিঠল স্বভাবে খানিক রগচটা হলেও এতদিন বিপদে আপদে তিনিই ছিলেন তার বাবার পাশে।এমনকি বাবার অসুখে বিসুখে তিনিই সেবা শুশ্রূষা করতেন তার বাবার। কিন্তু সেদিনের এই ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।

জানা গেছে ঘটনার পর পরশুরামের হাঁকডাক না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা বড় ছেলে ও পরশুরামের স্ত্রীকে বিষয়টি জানান। স্ত্রী ও বড় ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। বিঠালাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে খুনের কথা সে জানায়। তার কথার সূত্র ধরেই বাগালকোট জেলার মুধোলে এলাকায় মানতুর বাইপাসের কাছে একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় তার বাবার ৩২ টি দেহাংশ।