সংক্ষিপ্ত
- টুইটারে সুষমার মৃত্যু কামনা
- কুরুচিকর টুইটের উপযুক্ত জবাব দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী
- সুষমার পাশে দাঁড়ালেন অন্যান্য টুইটার ব্যবহারকারীরাও
দলীয় বিধায়কের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেছিলেন সুষমা স্বরাজ। তার জবাবে কুৎসিত টুইট করল এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গেই বুদ্ধিদীপ্ত জবাবে ওই টুইটার ব্যবহারকারীকে চুপ করিয়ে দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। অভিযুক্তকে একহাত নিয়েছেন অন্যান্য টুইটার ব্যবহারকারীরাও।
দিল্লি বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি এবং বিধায়ক মাঙ্গে রামের প্রয়াণে রবিবার একটি টুইট করেন সুষমা স্বরাজ। শোকবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি লেখেন, 'মরণোত্তর দেহদান করে গিয়ে উনি সমাজের উপকারের জন্য নিজেকে সমর্পিত করেছেন। ওনার স্মৃতিতে আমি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।'
এই টুইটের জবাবেই ইরফান খান নামে এক ব্যক্তি লেখে, 'শীলা দীক্ষিতের মতো আপনার কথাও একদিন আমাদের খুব মনে পড়বে আম্মা!' প্রসঙ্গত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিতের কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়। ফলে ওই টুইটের উদ্দেশ্য অত্যন্ত কুরুচিকর ছিল।
ইরফান খান নামে ওই ব্যক্তিকে অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই জবাব দেন সুষমা স্বরাজ। ইরফান খানকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, 'এমন ভাবনার জন্য আপনাকে অগ্রিম ধন্যবাদ জানাই।'
এর পরে অবশ্য ওই ব্যক্তি আর কথা বাড়ায়নি। কিন্তু টুইটারেই তাঁকে কার্যত ধুয়ে দেন অন্যান্যরা। একজন লেখেন, 'এই ধরনের মানুষ আগে থেকে কবর খুঁড়ে নিজের মা বাবার মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকে।' অন্য একজন সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ করে লেখেন, 'এদের মতো অনেককেই আপনি বিদেশ থেকে দ্রুত উদ্ধার করার ব্যবস্থা করতেন। আর এরাই আজ আপনার মৃত্যু কামনা করছে। আপনি তো বুঝলেন না, কিন্তু যিনি সবার বিশ্বাস অর্জনের কথা বলেন, সেই ভদ্রলোক হয়তো বুঝতে পারবেন।' অন্য একজন লেখেন, 'আমরা আপনার দীর্ঘ জীবনের কামনা করি। আপনি ভারতের গর্ব।' ইরফানকে উদ্দেশ করে শাহনাওয়া আনসারি নামে একজন লেখেন, 'ইরফান আপনি সত্যিকারের একজন মুসলিম হলে এভাবে অপমানজনক কথা বলবেন না, আপনি সুষমা স্বরাজ সম্পর্কে জানেন না। আরবে গিয়ে জেনে আসুন আমাদের ধর্মের মানুষের জন্য উনি কত কী করেছেন।'
প্রসঙ্গত শারীরিক অসুস্থতার জন্যই এবার আর মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব নেননি সুষমা স্বরাজ। বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন ভিন দেশে গিয়ে আটকে পড়া বহু ভারতীয়কে তিনি উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছেন। এমন কী, ভারতে এসে চিকিৎসা করানোর জন্য টুইটারের মাধ্যমেই তাঁর দ্বারস্থ হতেন অনেক পাকিস্তানি নাগরিক।