সংক্ষিপ্ত

রাহুল গান্ধীর ওয়েনাড সফর ছিলে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসহ ছিল তুঙ্গে। তাঁর জনসভায় তিল ধরানোর জায়গা ছিল না।

 

সংসদ পদ হারানোর পর এই প্রথম নিজের পুরনো সংসদীয় এলাকা ওয়েনাডে গেলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে দাঁড়িয়ে সাংসদ না হয়েও স্থানীয় জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন কংগ্রেস নেতা। বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'বিজেপি আমার এমপি ট্যাগ কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু ওয়েনাডের মানুষের থেকে যে ভালবাসা আমি পেয়েছে তা কেড়ে নিতে পারবে না।' কেরলের সীমানায় অবস্থিত লোকসভা কেন্দ্র ওয়েনাড। ২০১৯ সাল থেকে এই কেন্দ্র্রের জনপ্রতিনিধি রাহুল গান্ধী। কিন্তু সম্প্রতি লোকসভার সদস্য পদ খারিজ হয়ে গেছে তাঁর। তারপরেই তিনি ওয়েনাড যান। সেখানে জনসভাও করেন।

রাহুল গান্ধীর ওয়েনাড সফর ছিলে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসহ ছিল তুঙ্গে। তাঁর জনসভায় তিল ধরানোর জায়গা ছিল না। দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ভিড় জমিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর সভা। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। এদিন রাহুল প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে কালপেট্টায় সত্যমেব জয়তে নামে একটি কর্মসূচি শুরু করেন। এটি মূলত একটি রোডশো। তবে এই কর্মসূচিতে দলীয় পতাকা ব্যবহার করেনি কংগ্রেস। ব্যবহার করা হয়েছিল দেশের জাতীয় পতাকা।

এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, 'সংসদ সদস্য একটি ট্যাগ। এটি একটি পোস্ট। তাই বিজেপি ট্যাগ বা পোস্ট আর আমার বাড়ি কেড়ে নিতে পারে। তারা আমাকে জেলেও পুরতে পারে। কিন্তু তারা কখনই আমাকে ওয়েনাডের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে আটকাতে পারবে না।' তিনি বিজেপির তীব্র কটাক্ষ করে আরও বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না বিজেপি তার প্রতিপক্ষকে বুঝতে পারেনি। তারা বুঝতে পারে না যে তাদের প্রতিপক্ষ তাদের ভয় পায় না। তারা মনে করে আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে আমাকে ভয় দেখাতে পারবে। আমার বিরক্ত করা হলেও আমি বিরক্ত হব না। ' তিনি আরও বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার চক্রান্ত করে তাঁর সংসদীয় কোটায় পাওয়া বাড়ি কেড়ে নিয়েছে।

চার বছরের পুরনো মানহানি মামলায় গতকাল অর্থাৎ সোমবার সুরাটের দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। এদিন তিনি সুরাটের আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন। আদালত থেকে বেরিয়েই রাহুল গান্ধী তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। তিনি মোদীর নাম না করেই বলেন, 'গণতন্ত্র বাঁচাতে মিত্রকালের বিরুদ্ধে এই লড়াই।' এখানেই থেমে থাকেননি রাহুল গান্ধী তিনি বলেনস গণতন্ত্র বাঁচাতে তাঁর হাতিয়ার হল সত্য। সোমবার আদালত থেকে বেরিয়ে গিয়ে রাহুল গান্ধী একটি টুইট করেন। সেখানেই তিনি নাম না করে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কেন্দ্রীয় সরকার স্বাধীনতার 'অমৃতকাল' পালন করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য এনডিএ জমানায় দেশের অগ্রগতি হয়েছে। যা মানতে নারাজ কংগ্রেস। তাই রাহুলের এই 'মিত্রকাল' মন্তব্য বলেও মনে করছেন অনেকে। সুরাট আদালতের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন। যেখানেই তাঁর আবেদনের শুনানি হচ্ছিল। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। এই মমলার পরবর্তী শুনানিও ১৩ এপ্রিল।