সংক্ষিপ্ত
বাবার জন্মদিন অর্থাৎ ১১ জুন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কথা ছিল শচীন পাইলটের। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে এলেন রাজেশ পুত্র পাইলট।
নতুন দল গঠনের জল্পনা রীতিমত জলঢেলে দিলেন রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা শচীন পাইল। তবে নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও নড়লেন না। পাশাপাশি অশোক গোহলটকে তাঁর বাবা রাজেশ পাইলটের মৃত্যু বার্ষিকীর দিনেও খোঁচা দিতে ভুললেন না। রবিবার নিজেদের পারিবারিক এলাকা দৌসায় একটি সমাবেশে শচীন পাইলট অশোক গেহলটকে তাঁরই একটি পুরনো মন্তব্যের মাধ্যমে নিশানা করেন। তিনি বলেন, 'প্রতিটি ভুলই শাস্তি দাবি করে।' একই সঙ্গে শচীন পাইল এদিন তাঁর বাবাকে স্মরণ করে জানিয়ে দেন তিনি তাঁর বাবার মতই পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
রাজেশ পাইলটনের মৃত্যু বার্ষিকীতে শচীন পাইলট তাঁদের পারিবারিক ঘাঁটি দৌসায় একটি জনসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই তিনি তাঁর বাবার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেন। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, তিনি সরকারে থাকাকালীন যেমন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে তৎপর ছিলেন সরকারে না থেকেও তেমনই সমস্যাগুলি সমাধানের গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন ন্যায় বিচারের প্রতি তিনি সর্বদা জোর দেন।
শচীন পাইলট এদিন বলেন তাঁর মূল লড়াই রাজস্থানের তরুণ আর সুবিধে বঞ্চিতদের জন্য। তরুণদের ভবিষ্যৎ যাতে আরও সুন্দর আর সুরক্ষিত হয় তার জন্যই লড়াই করছেন। তিনি আরও বলেন, রাজস্থানের মানুষ সর্বদা তাঁর পাশে থেকেছেন। তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি আরও বলেন, তিনি রাজস্থানের মানুষের জন্য লড়াই করা থেকে বিরত থাকবেন না। রাজ্যের মানুষের জন্যই তিনি রাজনীতি করবেন। রাজ্যের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলতে দেবেন না বলেও এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন শচীন পাইলট। পাশাপাশি তাঁর বাবা যে একাধারে বিমান চালক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন সেকথাও জানান। তিনি বলেন বাবার পথে চলেই তিনি পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে চান। তাঁর একটি স্পষ্ট নীতি রয়েছে বলেও দাবি করেন শচীন।
এদিন রাজেশ পাইলটের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শচীন পাইলট একটি প্রার্থনা সভায় যোগ দেন। পাশাপাশি গুর্জর হোস্টেলে রাজেশ পাইলটের মূর্তিও উন্মোচন করেন তিনি। বলেন তাঁর বাবা রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষদের হয়ে কথা বলেছিলেন। আগামী দিনে সেই পথেই চলতে চান শচীন পাইলট।
এদিন দিনই নতুন দল গঠনের ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু আজ শচীন পাইলন সেই বিষয়ে একটিও কথা উচ্চারণ করলেন না। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে কংগ্রেসকে। কারণ কংগ্রেস প্রথম থেকেই শচীন পাইলটের দল বদলের কথা উড়িয়ে দিয়েছিল। কংগ্রেসের দাবি ছিল রাজস্থানে কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ। বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের মূল লক্ষ্যই হল বিজেপিকে হারানো। অন্যদিকে এদিন শচীন পাইলট স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, বসুন্ধরা রাজে তাঁর থেকে বয়সে অনেক বড়। আর সেই কারণে তাঁর সম্পর্কে তিনি কোনও আশালীন মন্তব্য করবেন না। কিন্তু বসুন্ধরা রাজের বিরোধিতা আমৃত্যু করে যাবেন।
আরও পড়ুনঃ
ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর তুলনা, দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ বিজেপি নেতার
আলৌকিক উদ্ধারকাজ: নিশ্চিত মৃত্যুর হাতে থেকে বেঁচে আসার সেরা ১০টি হাড়হিম করা ঘটনা রইল ছবিতে
গডসে ভারত মাতার সন্তান হলে- দাউদ, বিজয় মালিয়ারাও..., বিজেপিকে নিশানা বিরোধীদের