সংক্ষিপ্ত
নাসায় ডাক পেলেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ভারতীয় ছাত্র
বিশ্বের সবচেয়ে হালকা উপগ্রহ তৈরি করেছেন তিনি
জিতে নিয়েছেন গ্লোবাল স্পেস ডিজাইন প্রতিযোগিতা
এবার সরাসরি মহাকাশ অভিযানে
ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি। কিন্তু, উদ্ভাবনে সে পাল্লা দিতে পারে অনেক বড় বড় নামকেও। বিশ্বের সবচেয়ে হালকা উপগ্রহের নকশা তৈরি করে নাসার গ্লোবাল স্পেস ডিজাইন প্রতিযোগিতায় কিউব জিতে নিয়ে তা প্রমাণ করে ছাড়লেন এস রিয়াসদিন।
তামিলনাড়ুর তানজাবুর জেলার করনথাই-এর বাসিন্দা এই তরুণ সস্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র। তিনিই তৈরি করেছেন, মাত্র ৩৭ মিলিমিটার আকারের দুটি ফেমটো জাতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ। ৩০ মিলিমিটার-এর পেলোড-সহ এগুলির ওজন মাত্র ৩৩ গ্রাম। নাম দিয়েছেন ভিশন স্যাট ভি১ এবং ভিশন স্যাট ভি২। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে হালকা ফেমটো উপগ্রহ। উপগ্রহটি তৈরির জন্য রিয়াসদিন পলিথেরাইমাইড থার্মোপ্লাস্টিক রেজিন এবং থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।
মার্কিন মহাকাশ চর্চা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনটিকাল স্পেস এজেন্সি বা নাসা আয়োজিত গ্লোবাল স্পেস ডিজাইন প্রতিযোগিতায় ৭৩ টি দেশ থেকে এক হাজারেরও বেশি তরুণ উদ্ধাবকরা অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিযোগীদের বয়স-সীমা ছিল ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্য থেকে কিউব জিতে নেন ভারতীয় প্রতিযোগী রিয়াসদিন। তাঁর তৈরি উপগ্রহগুলিতে প্রায় ১৭ টি পরিমিতি রেকর্ড করার জন্য ১১টি সেন্সর দেওয়া হয়েছে।
শুধু এই প্রতিযোগিতায় জেতাই নয়, তাঁর তৈরি দুটি স্যাটেলাইট-ই এখন লামসার সরকারি মহাকাশ অভিযানের অংশ হতে চলেছে। ভিশন স্যাট ভি১ উপগ্রহকে ২০২১ সালের জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ওয়ালপস ফ্লাইট ফেসিলিটি থেকে নাসা-র এসআর-৭ রকেট অভিযানের অংশ করা হবে। আর ২০২১-এর অগাস্টে ভিশল স্যাট ভি২ অংশ হবে নাসা-র বেলুন মিশন আরবি-৬ এর। অন্যদিকে রিয়াসদিনের এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য এস বৈদ্যসুব্রামনিয়ম জানিয়েছেন, একটি স্টার্টআপ সংস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য রিয়াসদিন-কে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়া হবে।