সংক্ষিপ্ত
- বিদ্যুত চালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে জিএসটি-র হার ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হল
- অনেকটা কমল বিদ্যুতচালিত গাড়ির চার্জারের জিএসটিও
- সেইসঙ্গে বাড়তে পারে পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের খরচও
- নীতি আয়োগ ২০২৫ সালের মধ্য়ে ভারতের সব যানবাহনই বিদ্যুতচালিততে পরিণত করতে চায়
পেট্রোল-ডিজেলের গাড়ির বদলে ভারতীয়রা এখন থেকে বিদ্যুত চালিত গাড়ি ব্যবহার করা শুরু করুন। এমনটাই চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর সেই ভাবনাকে মাথায় রেখেই বিদ্যুত চালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে এক ধাক্কায় অনেখানি বদলে দেওয়া হল জিএসটি-র হার। এতদিন যা ছিল ১২ শতাংশ, শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে তা নামিয়ে আনা হল ৫ শতাংশে।
এখানেই শেষ নয়, ভারতীরা যাতে বিদ্যুত চালিত গাড়ি কেনার দিকে ঝোঁকেন, সেই কথা মাথায় ররেখে শুধু বিদ্যুত চালিত গাড়ির ক্ষেত্রেই নয়, এই ধরণের গাড়িগুলির চার্জারের জিএসটিও ১৮ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে জিএসটি কাউন্সিল। একই সঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিদ্যুতচালিত বাস ভাড়া করার ক্ষেত্রে জিএসটি তুলে নিয়েছে কাউন্সিল। এই নয়া হারে জিএসটি লাগু হবে আগামী ১ অগাস্ট তারিখ থেকেই।
বিদ্যুতচালিত গাড়ি প্রস্তুতকারীরা সংস্থাগুলিই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই গাড়ি গুলির উপরে লাগু থাকা জিএসটির হার কমানোর জন্য অবুোঝ করেছঠিল। তাদের বক্তব্য ছিল, পরিকাঠামোর অভাব এবং দাম বেশি থাকার কারণেই ভারতীয়রা তেল-ডিজেরলের গাড়ি কেনার অভ্যাস ছেড়ে বিদ্যুতচালিত যানবাহন ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন না। স্বাভাবিকভাবেই জিএসটি কাফন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অবশ্য ইতিমধ্য়েই ভারতে বিদ্যুতচালিত গাড়ির বিক্রি বাড়ানোর লক্ষ্যে জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে নির্মলা সীতারমণ তাঁর প্রথম বাজেটেই বিদ্যুতচালিত গাড়ি কেনার ঋণ মেটানোর ক্ষেত্রে ১.৫ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এইবার জিএসটির হার কমানোর পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, পেট্রোল ডিজেলের গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের খরচও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। নীতি আয়োগের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের অধিকাংশ গাড়ি বিদ্যুতচালিত গাড়িতে পরিণত করা।